রং-বেরঙের প্রজাপতি
ইচ্ছে ডানা ডেস্ক
🕐 ৬:৩৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২০, ২০১৮
প্রজাপতি শব্দটি শুনলেই আমরা স্বপ্ন নিয়ে হারিয়ে যাই সাতরঙা রামধনু রঙে। ঝলমল। উড়ন্ত। প্রাণবন্ত। বিস্ময়কর সুন্দর রঙিন প্রজাপতি আমাদের চোখে ভাসতে থাকে! তো এসো আমরা আজকে জেনে নিই এই রঙিন প্রজাপতি নিয়ে।
প্রজাপতিরা বেশিরভাগ দিবাচর। এদের মাথায় প্রায় গোলাকার পুঞ্জক্ষী রয়েছে যাকে আমরা শুঁড় বলে থাকি। প্রজাপতির জন্মবৃত্তান্ত বড় বিচিত্র। প্রথম অবস্থায় দেখতে শুঁয়োপোকার মতো দেখায়। ধীরে ধীরে রূপান্তরের মাধ্যমে খোলস পাল্টে প্রজাপতির আকার নেয়, বৈচিত্র্যময় রং ছড়িয়ে পড়ে তার পাখায়। শুঁড়ের সাহায্যে এরা গন্ধ নেয়। শ্রবণ, স্বাদ ক্ষমতাও যথেষ্ট। মিষ্টি ফুলের রস এদের প্রিয় খাদ্য। উচ্চতা, জলবায়ু, অরণ্যের পরিবেশ প্রজাপতির ওপর প্রভাব ফেলে।
মজার ব্যাপার হলো, ভারতের সিকিম রাজ্যকে বলা হয় প্রজাপতির দেশ। ভারতের পুরনো ইম্পিরিয়াল গেজেটে উল্লেখ করা হয়েছে সিকিমে ৬০০-এরও বেশি প্রজাতির প্রজাপতি রয়েছে! বিশে^র নানা অঞ্চল থেকে প্রজাপতি প্রেমিক, গবেষক সিকিম আসেন প্রজাপতির খোঁজে। আমাদের দেশে কত প্রজাতির প্রজাপতি আছে জানো? এখন পর্যন্ত ২০০ প্রজাতি শনাক্ত করা গেছে।
পূর্ণাঙ্গ অবস্থায় প্রজাপতির আয়ু ৩ থেকে ৬ সপ্তাহ। এটা বেড়ে আবার কখনো ৩ থেকে কয়েক মাসও হতে পারে। প্রজাপতি নিরীহ ধরনের প্রাণী হওয়ায় এদের শত্রুর অভাব নেই। পাখি, টিকটিকি, মাকড়সা এবং বিভিন্ন পোকামাকড় প্রজাপতির প্রধান শত্রু। যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া, ফ্লোরিডা ও কেক্সিকোর বিভিন্ন অঞ্চলে প্রজাপতির বিশাল দল ঝাঁকে ঝাঁকে ঘুরতে দেখা যায়। যা দেখে দর্শনার্থী এক রঙিন জগতে হারিয়ে যায়। জানতো, প্রজাপতি তিন হাজার মাইল পর্যন্ত উড়ে যেতে পারে!
সাধারণত প্রজাপতিকে পরিবর্তন, আনন্দ, ভালোবাসা এবং রূপান্তরের প্রতীক বিবেচনা করা হয়। কিন্তু এদের সম্পর্কে বিচিত্র সব মিথ প্রচলিত আছে। আইরিশ মিথে প্রচলিত, মৃত যোদ্ধাদের আত্মা প্রজাপতির রূপে পৃথিবীতে ঘুরে বেড়ায়। আমাদের দেশে মনে করা হয়, কারও গায়ে প্রজাপতি বসা সৌভাগ্যের লক্ষণ। সাদা প্রজাপতিকে সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে এবং কালো প্রজাপতি মৃত্যুর লক্ষণ বিবেচনা করা হয়।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228