তপুর সঙ্গে জমজমাট অ্যাডভেঞ্চার
প্রশান্ত ভৌমিক
🕐 ৩:৪৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ০২, ২০২১
সাইফুল ইসলাম জুয়েল, একজন শিশুসাহিত্যিক। তোমাদের জন্য লেখেন তিনি। তার বেশ কয়েকটি বই আছে তোমাদের জন্য। এর মধ্যে দুটি বই লিখেছেন তপু নামের এক কিশোরকে কেন্দ্র করে। তোমাদেরই বয়সী তপু কী করে বিভিন্ন রহস্যের সমাধান করে সেই গল্পই বলব আজ। তপু সিরিজের বই দুটির নাম ‘তপুর গোয়েন্দাগিরি’ আর ‘হিরামন পাহাড়ের রহস্য’। আশা করি এই বই দুটি সংগ্রহ করে তোমরাও তপুর সঙ্গে মাতবে জমজমাট অ্যাডভেঞ্চারে।
তপুর গোয়েন্দাগিরি সিরিজের প্রথম বই ‘তপুর গোয়েন্দাগিরি’। চারটে গল্প আছে এতে। ‘সাধু সুন্দরবন’ গল্পের পটভূমি সুন্দরবন। সুন্দরবনে বেড়াতে গিয়ে তপু আর ওর বন্ধুরা জড়িয়ে পড়ে একটি রহস্যে। ‘চৌধুরী নিবাসে খুনের রহস্য’ গল্পে ঢাকার এক বাড়িতে খুনের রহস্য সমাধান করে তপু। ‘ঝিনুক রহস্য’ গল্পের পটভূমি কুয়াকাটা আর ‘জমিদার বাড়ির রহস্য’ গল্পের পটভূমি ময়মনসিংহ। গল্পগুলোর কেন্দ্রীয় চরিত্র তপু। আর সব গোয়েন্দা গল্পের নিয়ম মেনে সহকারী হিসেবে না হলেও কাহিনীর লেখক হিসেবে তপুর বন্ধু রবিন আছে। গল্পগুলো পড়ে বুঝলাম, তপুর সবচেয়ে শক্তিশালী জায়গাটি হলো ওর ক্ষুরধার মস্তিষ্ক। ‘জমিদার বাড়ির রহস্য’ গল্পে যেমন ঘটনাস্থলে একবারও না গিয়েই যুক্তি আর বুদ্ধির সাহায্যে সম্পূর্ণ রহস্যের সমাধান করে ফেলেছিল তপু। সব মিলিয়ে কিশোর উপযোগী খুব ভালো একটি বই।
দ্বিতীয় বই ‘হিরামন পাহাড়ের রহস্য’ একটি উপন্যাস। এই বইতে হিরামন পাহাড়ে লুকানো গুপ্তধন বের করে তপু। বেশ জমজমাট কাহিনী। তবে সবচেয়ে খারাপ লেগেছে তপুর বন্ধু রনির মৃত্যু। এই বই পড়ে বেশ অনেকক্ষণ মন খারাপ হয়ে ছিল। লেখক তার ক্ষমতাবলে পাঠককে টেনে তপুর সমবয়সী করতে পেরেছেন। সেজন্য লেখককে সাধুবাদ জানাতে হয়।
তোমরা যারা রহস্য, গোয়েন্দাকাহিনী পছন্দ কর তাদের জন্য অবশ্যপাঠ্য বই দুটি। আর যারা গল্পের মজা খোঁজো, তাদের জন্যেও বেশ ভালো হবে বইগুলো। লেখকের লেখাও বেশ ভালো। ঝরঝরে গদ্য পড়তে ভালো লাগবে। এটুকু নিশ্চয়তা দিতে পারি, অন্তত সময়টাকে উপভোগ করতে পারবে।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228