টুপুর পাখি ও বেড়ালছানা
সোমা মুৎসুদ্দী
🕐 ২:১৮ অপরাহ্ণ, জুন ১২, ২০২১
টুপুদের বাড়িটা নানান রকম গাছপালায় ঢাকা। বিশেষ করে বাড়ির চারপাশে সাজানো গাছ। সেই গাছে এসে বসে নানান রকম পাখি, ময়না টিয়া, শালিক, চড়–ই...। এদের মধ্যে আবার অনেক সময় অতিথি পাখিও আসে শীতকালে। তাছাড়া তাদের পুকুরপাড়ে বেতের ঝোপে ডাহুক পাখি খেলা করে এসব দেখতে টুপুর খুব ভালো লাগে। টুপুর একটি সবুজ টিয়া পাখি আছে, যেটা টুপুর জন্মদিনে মামা উপহার হিসেবে দিয়েছে। টুপু দাদুর কাছে নানান রকম গল্প শোনে। সেই সঙ্গে শোনে পাখিদের কথা।
দাদু বলেন, পাখিরা আমাদের পরিবেশ রক্ষা করে। বিশেষ করে খেতের বিভিন্ন পোকামাকড় খায়, যেগুলো ফসলের ক্ষতি করে থাকে। তাছাড়া পাখি পরিবেশের সৌন্দর্য বাড়ায়। পাখিদের শিকারির হাত থেকে বাঁচানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
টুপু বলল, ঠিক তাই দাদু। আমরা পাখিদের মিষ্টি সুরের গান শুনি কিচিরমিচির শব্দে আমাদের ঘুম ভাঙে। তাই আমি ঠিক করেছি যতটুকু পারি পাখিদের জন্য খাবার গমের দানা উঠোনে ছড়িয়ে রাখব। এবার চলো, আমরা বিলের ধারে যাই। বিলেও নানান পাখির আনাগোনা। গাছের ডালে কুটুম পাখির ডাক শুনতেও বেশ লাগে।
দাদু হেসে বলেন, তোমাকে টুপুর নাম না দিয়ে পাখির নাম দিলেও বেশ হতো। আমি আমার মিষ্টি নাতনিটার কণ্ঠে সকাল বিকাল গান শুনতাম।
টুপুর বলল, দাদু এবার বেড়ালছানার গল্প বলি। জানো, আমার পোষা বেড়ালছানা সবসময় চুপটি করে আমার পাশে বসে থাকে। রাতে আমি ঘুমুতে গেলে সেও আমার পাশে চুপটি করে শুয়ে থাকে।
দাদু বলেন, পোষা প্রাণীরা এমনই হয়। শুনেছি তুমি বেড়ালছানাকে নিয়ে ছড়াও লিখেছ। তা বেশ বেশ। কিন্তু তুমি কি জানো, বেড়াল ইঁদুর খেয়ে সেও আমাদের অনেক উপকার করে। যেমন ইঁদুর অনেক সময় দরকারি কাগজপত্র ও শাড়ি, কাপড়চোপড় কাটাকুটি করে। যাদের বাড়িতে বেড়াল থাকে সে বাড়িতে ইঁদুরের উপদ্রব হয় না। কিন্তু টুপুর, আজ পশুপাখির প্রতি তোমার ভালোবাসা দেখে মনটা ভরে গেল। এবার থেকে তুমি এই দেশটাকেও ভালোবাসবে। সেই সঙ্গে ভালোবাসবে দেশের মানুষকে। যারা অসহায় তাদের সাধ্যমতো সাহায্য করবে। এভাবে ভালো কাজের মাধ্যমে গড়ে উঠবে একটি স্বপ্নের সুন্দর বাংলাদেশ। টুপুমনির বাংলাদেশ। আমাদের সবার প্রিয় বাংলাদেশ।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228