নকশি পিঠা
জাবেদ হোসেন
🕐 ১:৪৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৩০, ২০১৯

শীত মানে পিঠা! পিঠার নাম শুনলেই ঝলমল করে উঠে নানা আকারের, নানা রঙের, নানা রকম সব পিঠা। কারণ শীত মানেই এ দেশে নেমে আসে উৎসব। বিশেষত ছোটরা মামার বাড়ি যায়। নানা-নানীর আদরের নাত-নাতনীকে পেয়ে তারা যে কী খুশি হয় তার সাক্ষী তুমি নিজেই।
এই পিঠে নিয়ে কত কবিতা গানই না হয়েছে আমাদের বাংলায়। কবি সুফিয়া কামাল পিঠা নিয়ে ‘পল্লী মায়ের কোল’ কবিতায় লিখেছেন ‘পৌষ পার্বণে পিঠা খেতে বসি খুশিতে বিষম খেয়ে, আরও উল্লাস বাড়িয়াছে মনে মায়ের বকুনি পেয়ে।’
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে নিচে না এমন পাওয়া যায় না। তাকে নিয়ে কত যে গল্প আছে। তো শীতের পিঠা খেতে একবার গ্রামের বাড়িতে যেতে না পেরে আক্ষেপ করে বলেই ফেলেছিলেন তিনি, ‘এবার বছরকার দিনেরে ভাই জুটলো নাকো পুলি পিঠে।’
আজকে আমরা আলাপ করব ‘নকশি পিঠা’ নিয়ে। এই পিঠার গায়ে বিভিন্ন ধরনের নকশা আঁকা দেখবে। বিভিন্ন ছাঁচে ফেলে পিঠাকে নানা রকম নকশার আদলে তৈরি করা হয় বলেই এ পিঠার এমন নাকশি পিঠা।
নকশি পিঠা তৈরির জন্য প্রথমে আতপ চালের গুঁড়া বা আটা সেদ্ধ করে মণ্ড তৈরি করা হয়। এই মণ্ড বেলে মোটা রুটির মতো তৈরি করে তার ওপর চাঁদ, তারা, মাছ, গাছ, ফুল, লতাপাতা ইত্যাদির নকশা করা হয়। হাতের বদলে ছাঁচ দিয়ে পিঠাতে নকশা আঁকা হয়।
ছাঁচগুলো সাধারণত মাটি, পাথর, কাঠ বা ধাতু দিয়ে তৈরি হয়। এসব ছাঁচের ভেতর দিকে নকশা আঁকা থাকে। শীত তো এসে গেলো। এবার নানা বাড়ি যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করো, কেমন। মা-বাবাকে বলো, নানা বাড়িতে যাব।
