অদ্ভুতুড়ে সি ড্রাগন
ফারুক হোসেন সজীব
🕐 ২:০৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৯
ছোট্ট বন্ধুরা, তোমরা তো সমুদ্রের গভীরে বসবাস করা কত প্রাণীরই নাম শুনেছ। আজ তোমাদের এমনই এক অদ্ভুত প্রাণীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেব, যা শুনলে অবাক হবে! সেই অদ্ভুত প্রাণীর নাম হচ্ছে, সি ড্রাগন (ঝবধ উৎধমড়হ)! নিশ্চয় ভাবছ, আমরা তো এতদিন স্থলে বাস করা ড্রাগনের নাম শুনেছি! সিনেমায় দেখেছি ড্রাগনকে- মুখ দিয়ে আগুন বের করে পুরো শহর ধ্বংস করে ফেলছে। আসলে স্থলের ড্রাগনের সঙ্গে সমুদ্রের নিচের ড্রাগনের মিল নেই। সী ড্রাগন মোটেও অমন দুষ্টু নয়!
ওরা বাস করে সমুদ্রের একেবারে গভীর জলে। নামটা ড্রাগন হলেও ওদের তুমি এক প্রকার সামুদ্রিক মাছও বলতে পার! ওদের শরীরের রঙের বাহার দেখলে তো তাজ্জব বনে যাবে! কী সুন্দর বাহারি রঙ, যখন ওরা সমুদ্রের গভীরে ঢেউ খেলে ভেসে বেড়ায়, তখন কী যে সুন্দর লাগে! ওদের সারা শরীর আবার ডোরাকাটা বা খাজকাটার মতো। এই খাজকাটার সাহায্যে ওরা জলে ভেসে বেড়ানোর সময় শরীরের ভারসাম্য ঠিক রাখে। কেউ কেউ ওদের লিফি সি ড্রাগন (খবধভু ঝবধ উৎধমড়হ) বলেও ডাকে!
আসলে ওদের শরীরের অনেক অংশই ঠিক পাতার মতো দেখতে কি-না, তাই অমন নাম! যদি ওরা সমুদ্রের ভেতরে থাকা গাছ লতা পাতার মধ্যে থাকে, তাহলে ওদের কিছুতেই আলাদা করা যায় না। লতাপাতার মধ্যে ঘাপটি মেরে লুকিয়ে থাকে! যখনি সামনে দিয়ে কোনো শিকার যায়, অমনি ওরা সাপের মতো ছোবল মেরে খেয়ে ফেলে! চিংড়ি এবং সাগরের কীট খেয়ে বেঁচে থাকে ওরা।
শুনলে আরও অবাক হবে, ওদের কিন্তু কোনো দাঁত ও পাকস্থলি নেই! ওরা অবশ্য আকারে বেশি বড়ও হয় না! মাত্র ২০-২৫ সেন্টিমিটারের মতো হয়। স্ত্রী সী ড্রাগন আবার ১২০টি ডিম তাদের হৃদপি-ের ভেতরে নিয়ে অনায়াসেই ঘুরে বেড়ায়। জন্মের পর সী ড্রাগনের বাচ্চারা তাদের মায়ের সঙ্গেই ঘুরে বেড়ায়। কিন্তু যখনি বাচ্চারা একটু বড় মানে তরুণ হয়ে ওঠে, তখন ওদের মা ওদেরকে একেবারে স্বাধীন করে দেয়! প্রাপ্তবয়স্ক হতে প্রায় ২৪ মাস পর্যন্ত সময় লাগে। তবে ওরা মাত্র ছয় বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228