ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

অলিভার টুইস্ট

আশফাক চৌধুরী
🕐 ১:৪৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৯

রাজ্যের সব দুর্ভাগ্য নিয়েই যেন জন্মেছিল অলিভার। জন্মের পরপরই মা-কে হারায়। হারিয়ে ফেলে তার সত্যিকারের পরিচয়। কেননা, যে হাসপাতালে তার অসুস্থ মা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন, সেখানে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পথ থেকে কুড়িয়ে। কেউ তাকে চিনত না, জানত না। তাই তার মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে গেল তার শিশু পুত্রের নাম ও বংশ পরিচয়। এরপর শিশু অলিভার স্থান পেল এক এতিমখানায়। সেখানে একদল দামাল ছেলের সঙ্গে অযত্নে, অবহেলায় বেড়ে উঠতে থাকে সে। এভাবেই অলিভারের দুঃখের জীবন কাটতে লাগল। দুঃখের পরেই নাকি সুখ থাকে। সেই সুখই সে অলিভারকে কূলে নেওয়ার জন্য বসে ছিল, সে আমরা জানতে পারি বইটির শেষে এসে। এর মাঝে অলিভারের কত দুঃখ-কষ্ট। সব দুঃখ-কষ্ট জয় করে অলিভারের ছোট্ট তরী ভেসে চলে।

অলিভারের হিতাকাক্সক্ষী মি. ব্রাউনলো ও মি. লোসবোর্ন জানতে পারে মঙ্কস নামের ব্যক্তিটি আসলে অলিভারের বৈমাত্রেয় ভাই। সে সব সম্পত্তি গ্রাস করতে চায়। কারণ অলিভার তো মস্ত বড়লোকের সন্তান। তাদের পিতার উইলে ছিল, অলিভার যদি কোনো দুর্নামের কাজ করে তবে সেই সম্পত্তি কোনো কিছুই পাবে না। অলিভারকে পৈতৃক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার উদ্দেশ্যে চুরির কাজে লিপ্ত করার জন্য ফ্যাগিনকে নিয়োজিত করেছিল মঙ্কস। ফ্যাগিন এই কাজে ন্যান্সি এবং বিল সাইক্সের ওপর ন্যস্ত করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। আর অলিভারের জীবনে আসে সেই সুখ, যা অসংখ্য দুঃখের পর তার জন্য প্রতীক্ষা করছিল।

‘অলিভার টুইস্ট’-এর লেখক চার্লস ডিকেন্স। তার পুরো নাম চার্লস জন হাফ্যাম ডিকেন্স। তিনি ছিলেন উনবিংশ শতকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইংরেজ ঔপন্যাসিক। তাকে ভিক্টোরিয়ান যুগের শ্রেষ্ঠ ঐতিহাসিক হিসেবে মনে করা হয়। বইটি ১৮৩৮ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper