ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ময়মনসিংহের শশীলজ

শিমুল জাবালি
🕐 ১:১৩ অপরাহ্ণ, জুন ২২, ২০১৯

বাংলার বিখ্যাত মহারাজা শশীকান্ত আচার্য্যরে পরিবার বাংলা বিহার উড়িষ্যার নবাব মুর্শিদ কুলি খাঁ-এর আমলে প্রথম জমিদারি লাভ করে এবং তারা ময়মনসিংহের মুক্তাগাছাকে কেন্দ্র করে জমিদারি পরিচালনা করতে থাকে। ক্রমান্বয়ে আঠারশ শতকে মহারাজা মুক্তাগাছার বাইরে এসে রাজবাড়ী তৈরি করেন, যা স্থাপত্যশৈলীর অনন্য নিদর্শন হিসেবে এখনো মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে।

ময়মনসিংহ শহরে অবস্থিত এ রাজবাড়ীর প্রতিটি ইঞ্চিতে ছড়িয়ে রয়েছে ইতিহাস। মহারাজা সূর্যকান্ত আচার্য্য নাম দিয়েছিলেন শশীলজ। আর এ শশীলজ এবং তার সম্মুখস্থ গ্রিক সৌন্দর্যের দেবী ভেনাসের ভাস্কর্যটি তোমার নজর কারবে।

এর ছায়াঘেরা হৃদয় স্পর্শ করা শীতল পরিবেশ, ভবনের সুদৃশ্য আকর্ষণীয় শিল্পমণ্ডিত কারুকার্য। এছাড়া কড়ই, অশোক, দেবদারু, কাঠগোপাল, অর্জুন, কর্পুর গাছের বিশালত্ব ও প্রাচীনত্ব দর্শক ও পর্যটকদের নিয়ে যায় ইতিহাসের সেই সুবর্ণ সময়ে। ভবনের পেছনে গেলে দেখবে ‘জলঘর’ খ্যাত দোতলা পুকুর ঘাটলা। এই ভাস্করের পরিচয় জানা যায়নি। জানা যায়নি মার্বেল পাথরে আচ্ছাদিত বহুভুজাকৃতি দুই ঘাটবিশিষ্ট পেছনের পুকুরের ইতিহাস।

তবে জানা গেছে রাজবাড়ীর প্রতিপত্তির সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা পুকুরের পশ্চিম পাশের সবচে প্রাচীন গাছ নাগলিঙ্গমের কথা, যার ফল সে সময়ে হাতির খাবার হিসেবে ব্যবহৃত হতো। শশীলজের স্থাপত্যকীর্তি যুগ যুগ ধরে আকর্ষণ করবে অসংখ্য পর্যটক ও সৌন্দর্য পিপাসুদের দৃষ্টিকে। মহারাজা সূর্যকান্ত তার দত্তক পুত্র শশীকান্তের নামে অনেক যত্নে নির্মাণ করেছিলেন এ প্রাসাদ। শশীকান্তই ছিল এই জমিদার পরিবারের শেষ উত্তরাধিকার।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper