ওদের নাম ওরাং ওটাং
ফারুক হোসেন সজীব
🕐 ১:০৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ০৬, ২০১৯
ওরাং ওটাং অনেক বুদ্ধিমান প্রাণী। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বোর্নিও এবং সুমাত্রা দ্বীপপুঞ্জের বৃষ্টিবহুল বনাঞ্চলে ওরাং ওটাংদের দেখা মেলে। সেখানকার ভাষায় ওরাং ওটাং কথাটার অর্থ হলো- জঙ্গলের লোক!
ছোট্ট বন্ধুরা, আজ তোমাদের এমন একটি প্রাণীর কথা বলব যার নাম ওরাং ওটাং। কী অদ্ভুত সুন্দর নাম, তাই না? শুধু কী নাম, এর বৈশিষ্ট্যগুলোও অদ্ভুত। মানুষের সঙ্গে এদের ডিএনএ-র প্রায় ৯৭ ভাগ মিল খুঁজে পাওয়া যায়। আমাদের মতো এদেরও ৩২টি দাঁত আছে। তাই ওরাং ওটাংকে ‘human of the forest’ বলা হয়। বাংলাদেশে এরা বনমানুষ হিসেবে পরিচিত।
ওরাং ওটাং অনেক বুদ্ধিমান প্রাণী। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বোর্নিও এবং সুমাত্রা দ্বীপপুঞ্জের বৃষ্টিবহুল বনাঞ্চলে ওরাং ওটাংদের দেখা মেলে। সেখানকার ভাষায় ওরাং ওটাং কথাটার অর্থ হলো- জঙ্গলের লোক! আসলে ওরা জঙ্গলে থাকতেই বেশি পছন্দ করে কিনা তাই এমন নাম! অধিকাংশই উঁচু গাছপালায় বসবাস করে। ফল, পাতা, গাছের বাকল খেয়ে জীবন ধারণ করে। এছাড়া পোকামাকড়, পাখির ডিম এবং ছোট ছোট প্রাণী খেতেও অভ্যস্ত তারা।
ওরাং ওটাং মানুষের মতোই পরিবার নিয়ে বসবাস করে। গায়ের রং ঈষৎ বেগুনি। দেখতে অনেকটা বুড়ো লোকের মতো- গুরুগম্ভীর! চালচলনে শিম্পাঞ্জীর সঙ্গে বেশ মিল। এদের গেছো প্রাণী বললেই ঠিক বলা হবে। গাছের ওপরে এ-ডালে ও-ডালে ছুটে চলে ওরা, কিন্তু মাটিতে হাঁটতে গেলেই সেই চটপটে ভাবখানা আর থাকে না।
ওরাং ওটাং লম্বায় প্রায় চার ফুট এবং ওজনে প্রায় ১৫০ পাউন্ড হয়ে থাকে। পৃথিবীতে মানুষের পরেই এরা সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণী। মানুষের মতোই তাদের মনে মায়া মমতা ভালোবাসা থাকে। ওরা শিশুদের মতোই যে কোনো কিছু অনুকরণ করতে পারে। গড় আয়ুর কথা যদি বলি সেটাও কিন্তু নেহাত কম নয়, প্রায় ৫৭ বছর পর্যন্ত এরা বেঁচে থাকে!
কী আশ্চর্য প্রাণী, তাই না বন্ধুরা? কিন্তু জানো তো, পৃথিবীর আবহাওয়া প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে আর তার সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে ওদের অস্তিত্বও আজ হুমকির মুখে।
আস্তে আস্তে হয়তো অনেক প্রাণীর মতো ওরাং ওটাংও এক দিন বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তখন এই পৃথিবীর কেউ হয়তো আর মনেই করতে পারবে না, এক দিন ওরাং ওটাং নামে কোনো প্রাণী পৃথিবীতে ছিল!
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228