শালবন বিহারে আমরা
সজীব বণিক
🕐 ২:৩৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৯
ছুটির দিনে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পাশে ঘোরার মতো অনেক ঐতিহ্যমণ্ডিত স্থান রয়েছে। প্রাচীন জেলা কুমিল্লার বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম ময়নামতি জাদুঘর ও শালবন বিহার। কুমিল্লা শহর থেকে আট কিলোমিটার পশ্চিমে শালবন বিহার ও ময়নামতি (কোটবাড়ি) অবস্থিত।
বিহারটির আশপাশে একসময় প্রচুর পরিমাণে শাল-গজারির বন ছিল বলে বিহারটির নামকরণ করা হয়েছে শালবন বিহার নামে। এখনো বিহারের পাশে প্রচুর শাল-গজারি গাছ দেখতে পাওয়া যায়। বিহারের রাস্তার পূর্ব পাশে শালবন মাঠ যেখানে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঘুরতে আসা পর্যটকরা বিভিন্ন খেলার আয়োজন করে থাকে এবং মাঠের ঠিক পূর্বপাশে অবস্থিত অতি চমৎকার নিদর্শন ‘বৌদ্ধ মন্দির’।
ছুটির দিনে আমরা একঝাঁক তরুণ গিয়েছিলাম সেই নান্দনিক সৌন্দর্যমণ্ডিত স্থানে। কেউ ছোট কেউ বড় কিংবা কেউ নৃবিজ্ঞান, কেউ মার্কেটিং, কেউ ব্যবস্থাপনা বিভাগের তবে সবাই ছিল কিশোরগঞ্জের এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত।
নান্দনিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই ঐতিহাসিক স্থানে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঘুরতে আসা বিনোদন ও জ্ঞানপিপাসু পর্যটকদের আনাগোনায় মুখর হয়ে ওঠে। শালবন বিহার ও ময়নামতির জাদুঘরের চারপাশে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ফুলের বাগান মানুষের মনকে প্রফুল্ল করার মতো।
ঘুরে বেড়ানোর এক পর্যায়ে ব্যবস্থাপনা বিভাগের ৭ম ব্যাচের শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ বলেন, বর্তমানে দেশ-বিদেশের পর্যটকদের মূল আকর্ষণ ও ছাত্র, পর্যটক তথা গবেষকদের কাছেও খুবই গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে মনে হচ্ছে এই ময়নামতি জাদুঘর ও শালবন বিহারটি।