পৃচাঁবু ২০২০
অমৃত ফরহাদ
🕐 ১০:৫০ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২৪, ২০১৮
কিছুতেই এটা মেনে নেওয়া যায় না। চাঁদ আমাদের একমাত্র উপগ্রহ। আর সে উপগ্রহে বসতি স্থাপন করবে বুধের মতো ছোট্ট একটি গ্রহের প্রাণীরা। বিড় বিড় করে বললো সানিম। ড. সানিম আদবানী বাংলাদেশের একজন শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী। বুধ গ্রহের কিছু প্রাণী চাঁদে এসে বসবাস করছে।
এ নিয়ে গোটা পৃথিবীতে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। বিজ্ঞানীরা চিন্তিত। পৃথিবী থেকে শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী রেড স্টংকের নেতৃত্বে একদল বিজ্ঞানী পর্যবেক্ষণের জন্য চাঁদে যায়। কিন্তু বুধ থেকে আসা প্রাণীদের প্রযুক্তির কাছে হার মানতে হয় তাদের। তাদের মহাকাশ যানের অস্তিত্বই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না।
নভেম্বর মাসের প্রথম বুধবার নাসার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বিশ্ব বিজ্ঞানী সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে ড. সানিম। সম্মেলনে বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণার ওপর লেখা প্রবন্ধ পাঠ করেন এবং আলোচনা রাখেন। ড. সানিম তার আলোচনার একপর্যায়ে বলেন, মানুষ যেমন করে পরমাণুকে নিজের অধীন করে বিধ্বংসী মারণাস্ত্র বানিয়েছে, আমার মনে হচ্ছে তেমনি করে বুধের বুদ্ধিমান প্রাণীগুলো চাঁদে বসে আলোর পরমাণু ফোটন পারটিকেলকে দাস বানিয়ে দুনিয়ার সব শক্তির সব সমরাস্ত্রকে অদৃশ্য এক অস্ত্র দ্বারা নীরব ধ্বংসের শিকারে পরিণত করবে। আমি আশঙ্কা করছি আমাদের রেড স্টংকরা এ অদৃশ্য অস্ত্রের শিকার হতে পারে। আমার বিশ্বাস তারা এখনো বেঁচে আছেন। আমরা যদি দ্রুত চাঁদে একটি অভিযান চালাতে পারি, তাহলে তাদের বাঁচানো যেতে পারে। পাশ থেকে বিজ্ঞানী ডেভিড হারজেল বলে উঠলো, ড. সানিম অস্ত্রটার কার্যকারিতা ঠিক কি ধরনের হবে তা যদি আরেকটু ক্লিয়ার হওয়া যেত.. ..।
ড. সানিম আবার বলতে লাগলো, ফোটন বুলেট বা ফোটন এক্সপ্লোশনের সাধারণ যে চরিত্র তাতে সহজ ভাষায় বলা যায়, পরমাণু অস্ত্র ধ্বংস করে ঢাকঢোল পিটিয়ে। আর ফোটন অস্ত্র ধবংস করবে নিস্তব্ধ আঘাতে এবং এ ক্ষেত্রে ধ্বংসও হেব টোটাল, কোনো ধ্বংসাবশেষও থাকবে না।
এ এমন এক ভয়ঙ্কর দৃশ্য যার কল্পনাও মানুষের বিবেক ও সত্তাকে অবশ করে দেওয়ার মতো। উপস্থিত সবার চোখে-মুখে বিস্ময় ও আতঙ্কেও চিহ্ন। ড. সানিমের নেতৃত্বে পৃচাঁবু ২০২০ নামে একটি যান চাঁদে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। একটি নির্দিষ্ট তারিখে তিনি তার টিম নিয়ে চাঁদের দিকে যাত্রা করেন। ড. সানিম তার সোর্ড নিয়ে ব্যস্ত। তার এক সহযোগী জহুরী লসেরা প্রশ্ন করল স্যার, ফোটন পারটিকেলস থেকে তৈরি ওদের ধ্বংসাত্মক অস্ত্র প্রতিরোধের ক্ষেত্রে আমাদের সোর্ড এর কী ভূমিকা হতে পারে?
-ফোটন পারটিকেলসের মারণাস্ত্র কোনো না কোনো মেটালে তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র বাহিত হয়ে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানবে। আমাদের সোর্ড মেটালিক সে ক্ষেপণাস্ত্রকে বন্দি করে ধ্বংস করতে পারবে। তার ফোটন পারটিকেলস মারণাস্ত্র যদি শ্রেণি ও মাত্রার বিচারে আমাদের সোর্ডের চেয়ে কম শক্তিশালী হয় তাহলে সে ফোটন মারণাস্ত্রকেও নিউট্রাল করে ফেলতে পারবে আমাদের সোর্ড। আর ফোটন মারণাস্ত্রটি মাত্রায় বেশি শক্তিশালী হলে সোর্ডের শিল্ড কেটে তা বেরিয়ে যাবে। কিন্তু লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে না।
জহুরী লসেরা আবার প্রশ্ন করল, কিন্তু ফোটন মারণাস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্রের অবয়ব তো অতি ক্ষুদ্র । প্রচলিত কোনো রার্ডারে ধরা পড়বে না।
ড. সানিম’র জবাব, ফোটন মরণাস্ত্রের লক্ষ্যবস্তুতে যদি সোর্ড মোতায়েন থাকে এবং সোর্ড যদি চালু অবস্থায় থাকে, তাহলে ফোটন মারণাস্ত্র একটা নির্দিষ্টি দূরত্বে পৌঁছার পর সোর্ডের চোখে ধরা পড়ে যাবে। তারপর যা ঘটবে তা আগেই বলেছি।
ড. সানিম এবং তার দল সোর্ডটি অ্যাকটিভেটেড করে চাঁদে পানি সৃষ্টির উপযুক্ত পরিবেশ খুঁজতে বের হলো। কিছুক্ষণ পরই তারা পেয়ে গেল কাক্সিক্ষত স্থান। তিনি হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন গ্যাসের বিক্রিয়া ঘটাচ্ছেন। কিছুক্ষণ পর প্রচ- শব্দে বিস্ফোরণ ঘটলো এবং পানির সৃষ্টি হলো।
এদিকে বুধের প্রাণীরা চাঁদে অন্য প্রাণীর উপস্থিতি টের পেয়ে যায়। তারা তাদের ফোটন পারটিকেলস প্রয়োগ করল। কিন্তু পৃথিবীর বিজ্ঞানীদের প্রযুক্তি সোর্ডের কাছে তাদের প্রযুক্তিকে হার মানতে হয়। ফোটন পারটিকেলস মরণাস্ত্র সোর্ডের কাছাকাছি এসে দুর্বল হতে হতে একসময় নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। বুধের প্রাণীরা শুধু অবাক নয় ভয়ও পেয়ে যায়। তাদের প্রযুক্তি বিফলে যাবে এটা ছিল তাদের কল্পনার বাইরে। এক সময় তারা ভয়ে চাঁদ ত্যাগ করে।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228