চিতাবাঘের গ্রাম
ডেস্ক রিপোর্ট
🕐 ৩:০১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৭, ২০২১
গ্রামটির নামই ‘চিতাবাঘের গ্রাম’। এখানেই কিনা মানুষ ও চিতাবাঘের বসবাস। তাও আবার শত শত বছর ধরে। বলছি বেরা নামক এক গ্রামের কথা। ভারতের রাজস্থানের একটি খেয়ালি আধা শহর, আধা গ্রাম। এই গ্রামকে সত্যিকার অর্থেই অনন্য করে তুলেছে চিতাবাঘের বসবাস। পৃথিবীর বুকে এটিই সম্ভবত একমাত্র প্রাকৃতিক পরিবেশ, যেখানে ভারতের সবচেয়ে আতঙ্কজনক শিকারি প্রাণীগুলোর একটির সঙ্গে এক শতাব্দীরও বেশিকাল ধরে প্রতিবেশীর মতো জীবন কাটাচ্ছে মানুষ।
চিতাবাঘের গ্রাম নামে পরিচিত বেরায় রয়েছে এই গ্রহে এ প্রাণীর সবচেয়ে বড় সমাবেশ। এখানকার কাঁটাযুক্ত ছোট ছোট ঝোঁপে অন্তত ৯০টি চিতা বাঘের বাস। প্রায় হাজার বছর আগে ইরান থেকে আফগানিস্তান হয়ে রাজস্থানে পাড়ি জমানো রাখাল জনগোষ্ঠী রাবারির সঙ্গে বেশ শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ওই বাঘগুলোর।
রাবারি শব্দের আভিধানিক অর্থ- বহিরাগত। পশুপালন ও ভ্রমণের মধ্যেই জীবন কাটানো যাযাবরদেরও বোঝানো হয় এই শব্দের মাধ্যমে। হিন্দু দেবতা শিবের অনুগত হিসেবে (পরনে চিতাবাঘের চামড়া- এই রূপেই সবসময় তাকে ফুটিয়ে তোলা হয়)। এর উৎসের খোঁজে এই গোত্র হিমালয়ের ছুটে বেড়ায়। তাদের বিশ্বাস, তারা শিব ও পার্বতীর সৃষ্টি।
এক শতাব্দীর অধিককাল হয়ে গেলেও বেরায় কোনো মানুষের ওপর আক্রমণের ঘটনা ঘটেনি। শুধু এক শিশুকে একবার টেনে নিয়ে যাওয়া ছাড়া। এমনকি সেদিন ওই শিশুকে তখনি ছেড়ে দিয়ে, ঝোঁপের আড়ালে ফিরে গিয়েছিল সেই চিতাবাঘ।