যুদ্ধের মূল্য দিতে হচ্ছে ‘বিয়ে’ করে
ডেস্ক রিপোর্ট
🕐 ১০:৪৮ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১৯, ২০২১
আগস্টে আফগানিস্তানের হেরাতে পুলিশ বিভাগে কাজ করতেন সুমা (ছদ্মনাম)। পাঁচ সন্তানের ভরণপোষণের বিশাল দায়িত্ব তার কাঁধে। স্বামী মারা গেছেন বছর তিনেক আগে। আগস্টের ১৩ তারিখ হেরাতের যাবতীয় সরকারি কার্যালয় ও থানার দখল নেয় তালেবানরা। চাকরি হারায় সুমা। এদের মধ্যেই এক তালেবান যোদ্ধার নজরে পড়ে যান তিনি।
সুমা বলেন, ‘সে আমাকে হুমকি দিতে শুরু করে। আমি যদি তাকে বিয়ে না করি তবে সে আমাকে ধর্ষণ করবে, আমার সন্তানদেরও মেরে ফেলবে।’ কাঁপা কাঁপা গলায় দ্য ডিপ্লোম্যাটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুমা আরও বলেন, ‘আমার কোনো উপায় ছিল না। সেপ্টেম্বরে কোনো এক মোল্লার অনুমতি নিয়ে ওই তালেবান যোদ্ধা আমাকে জোর করে বিয়ে করে।’
সুমা জানান, ‘এরপর থেকে প্রতিটি দিন প্রতিটি রাত বিভীষিকার মতো কাটছে। আমার কাছে মনে হয় যেন প্রতিরাতে সে (ওই তালেবান যোদ্ধা) আমাকে ধর্ষণ করছে। মাঝে মাঝে ভাবি আত্মহত্যা করব। সন্তানদের কথা ভেবে সেটা পারি না।’
তিনি বলেন, বেশিরভাগ তালেবানের মাথায় গিজগিজ করছে একটাই চিন্তা- এরপর কাকে বিয়ে করব!
পাকিস্তানের সীমান্তঘেঁষা একটি শহরে আছে হাইস্কুলের ছাত্রী শবনম। তালেবানরা যখন তাদের বাড়িতে কড়া নাড়ে তখন এক যোদ্ধাকে দেখে আঁতকে ওঠে সে। যে ছেলে কিনা এতদিন তাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল, সে-ই এখন ভরা মজলিসে শবনমকে নিজের ‘স্ত্রী’ ঘোষণা করেছে! এ কাজে নাকি আবার স্থানীয় নেতারা তাকে অনুমতিও দিয়েছে! সূত্র : দ্য ডিপ্লোম্যাট