মাস্কের দাম চার লাখ টাকা
ডেস্ক রিপোর্ট
🕐 ১:১৮ অপরাহ্ণ, জুন ১২, ২০২১
মহামারী করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা পেতে মানুষের এখন অন্যতম ভরসা মাস্ক। ভাইরাসের কারণে অন্ন-বস্ত্রের মতো এখন নিত্যদিনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই মাস্ক। তাই মাস্কের প্রয়োজন মেটাতে ব্যবসায়ীরা মাস্কের নিত্যনতুন ডিডাজাইন নিয়ে আসছেন। কোম্পানিগুলো এর নকশায়ও আনছে ভিন্নতা। মাস্ক ব্যবহার যেহেতু দীর্ঘমেয়াদি হচ্ছে তাই ব্যবহারকারীরাও এখন খুঁজছেন আকর্ষণীয় ও সুন্দর মাস্ক।
মাস্কে ভিন্নতা আনতে প্রচলিত কোম্পানির সঙ্গে পাল্লা দিতে জুয়েলারি দোকানগুলোও নেমেছে মাঠে। তারা মাস্ক তৈরিতে সোনা, রূপা, হীরাসহ দামি পাথর পর্যন্ত ব্যবহার করছেন। এতে করে একদিকে মাস্কগুলো যেমন দৃষ্টিনন্দন হচ্ছে, তেমনি লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে তার দামও। কিছুদিন আগে ভারতের পুনের এক ব্যক্তি সোনার মাস্ক পরে সবাইকে চমকে দেন। শঙ্কর কারাডে নামের ওই ব্যক্তির সোনার মাস্কের দাম পড়েছে তিন লাখ রুপির বেশি।
এবার শঙ্করের মাস্ককে টেক্কা দিতে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেছে ভারতের গুজরাটের একটি জুয়েলারি দোকান। তারা হীরা বসানো মাস্ক তৈরি করছেন। মাস্ক তৈরিতে দুই ধরণের হীরা ব্যবহার করছেন। প্রতিটি মাস্কের দাম ধরা হয়েছে এক লাখ ৭০ হাজার থেকে ৪ লাখ ৫২ হাজার টাকা।
ওই দোকানের মালিক দীপক চোকসি ওরিশা পোস্টকে জানান, কয়েকদিন আগে তার দোকানে এক ক্রেতা এসে বর-কনের জন্যে অভিনব দুটি মাস্ক তৈরি করে দেওয়ার কথা বলেন। এরপর তারা এই মাস্ক তৈরি শুরু করেন। মাস্ক তৈরির পর ওই ক্রেতা দুটি মাস্ক নিয়ে যান। তবে ক্রেতার আপত্তির কারণে ওই দুটি মাস্কের দাম প্রকাশ করা হয়নি। পরবর্তীতে এ ধরণের আরও মাস্ক তৈরির পরিকল্পনা আছে বলে জানিয়েছেন দীপক। কারণ লকডাউন পুরোপুরি তুলে দিলে সামনের দিনে এই ধরণের মাস্কের চাহিদা বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।
যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই মাস্ক তৈরি হচ্ছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে দীপক জানান, মাস্কগুলো হীরার তৈরি হলেও সরকারি নির্দেশনা মেনেই তৈরি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ সম্ভব বলে জানান তিনি। এখন দেখার বিষয় ক্রেতা সাধারণের মাঝে কতটা সাড়া ফেলে সাড়ে চার লাখ টাকার এই মাস্ক।