বিস্ময়কর সিংহ!
ডেস্ক রিপোর্ট
🕐 ১২:১৭ অপরাহ্ণ, মে ১১, ২০২১
প্রাচীনকাল থেকেই বিশ্বের একটি জনপ্রিয় স্থান গ্রিক দ্বীপ ‘কেয়া’। এটি এথেন্সের নিকটতম সাইক্ল্যাডিক দ্বীপ। এ দ্বীপের বিখ্যাত স্মৃতিস্তম্ভগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ‘লায়ন অফ কেয়া’ বা ‘কেয়া দ্বীপের সিংহ’। এটি গ্রিকের প্রাচীন স্মৃতিস্তম্ভের মধ্যে একটি। আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৬০০ অব্দের দিকে এটি নির্মিত হয়েছিল। স্মৃতিস্তম্ভের এ সিংহ বছরের পর বছর ধরে বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে। এটি নিয়ে পৌরাণিক কাহিনি প্রচলিত রয়েছে।
অসংখ্য পৌরাণিক কাহিনিতে এ সিংহ সৃষ্টির ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এসব কাহিনির বেশির ভাগের শুরুর কথা হলো কেয়া দ্বীপটিতে জলরাশির নিম্ফ’র (গ্রিক পুরাণের একটি নারী চরিত্র) বসবাস ছিল। যারা দেবতাদের ঈর্ষান্বিত করতে নিজেদের সৌন্দর্য ব্যবহার করত। দেবতারা এ প্রবণতা দেখে দ্বীপটিকে উত্তেজক নিম্ফ থেকে রক্ষা করতে একটি সিংহ পাঠিয়েছিলেন। পৌরাণিক এসব কাহিনি প্রচলিত থাকলেও সিংহটি সম্পর্কে আসল কোনো তথ্যই জানা যায়নি। তবে প্রায় এ সম্পর্কিত সব পৌরাণিক কাহিনিই দাবি করে যে, দ্বীপটি একসময় জলরাশির নিম্ফ’র বাসস্থান ছিল।
প্রখ্যাত মার্কিন প্রতœতত্ত্ববিদ জন ক্যাস্কি তার ১৯৮১ সালে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে এ দ্বীপের উর্বরতা এবং সুপেয় পানি বজায় রাখার ক্ষেত্রে সিংহ এবং এর গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত লিখেছিলেন।
প্রচলিত আছে, এ দ্বীপে প্রচুর সুপেয় পানির ঝর্ণা ছিল, যা থেকে নিম্ফ’রা পান করত। কিন্তু দেবতারা এ দ্বীপের সুপেয় পানি রক্ষা করতে চেয়েছিলেন। সে কারণেই তারা নিম্ফদের দূরে রাখতে সিংহটিকে দ্বীপে প্রেরণ করেছিলেন। ক্যাস্কির মতে, এ ভাস্কর্যটির সঙ্গে এ দ্বীপের বিরল ও ক্ষতিকারক খরার রেকর্ড হিসাবে কাজ করেছে। এটি এখনো আইওলিসের কাছে একটি পাহাড়ের ওপর বিশাল প্রতীকী মূর্তি আকারে রয়েছে।
অন্য একটি পৌরাণিক কাহিনি প্রচলিত আছে যে, কেয়া দ্বীপ একসময় অসংখ্য প্রাকৃতিক ঝরনা এবং নিম্ফদের কারণে ‘জল দ্বীপ’ হিসেবে পরিচিত ছিল। এ পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী, দেবতারা দ্বীপের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঈর্ষান্বিত হয়েছিলেন এবং তাদের ক্রোধে একটি সিংহকে দ্বীপটি ধ্বংস করতে প্রেরণ করেছিলেন। নিম্ফরা দ্বীপপুঞ্জের নতুন বাসিন্দাকে ভয় পেয়ে অন্যত্র চলে গিয়েছিল। এর ফলে দ্বীপটির পানির উৎস এবং সৌন্দর্য হারিয়েছিল।