ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

রহস্যময় পাণ্ডুলিপি

ডেস্ক রিপোর্ট
🕐 ১১:১০ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২১

রহস্যময় পাণ্ডুলিপি

পৃথিবীকে রহস্যের আঁতুড়ঘর বলা যায়। তবে যুগে যুগে এমন কিছু বস্তুর সন্ধান মিলেছে, যা রহস্যের পরিধি আরও বাড়িয়েছে। এমন রহস্যময় পাণ্ডুলিপি নিয়ে কথা বললেই প্রথমে আসে ‘ভয়নেচ’-এর নাম। যেটিকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে রহস্যময় পা-ুলিপি’ বলা হয়। এমনকি এই লিপিকে এলিয়েনদের লেখা বইও বলেন অনেকে।

ভয়নেচ পাণ্ডুলিপিকে ইংরেজিকে বলা হয় ‘ভয়নিক ম্যানুস্ক্রিপ্ট’। বইটি ‘বাইনাকা এমএস ৪০২’ নামেও পরিচিত। ধারণা করা হয় এটি ১৫তম শতাব্দীর প্রথম দিকে লেখা হয়েছিল। তবে নির্দিষ্ট কোনো তারিখ এখনও পাওয়া যায়নি। পাণ্ডুলিপিটিকে ঘিরে রহস্যের মূল কারণ হলো এর ভাষা ও ধরন। এটি কোন ভাষায় লেখা তা কেউ বলতে পারেন না। এখন পর্যন্ত এই লিপি কেউই স্পষ্ট পড়তে পারেননি। অনেক গবেষক মনে করেন, এটি পৃথিবীর কোনো বই নয়। ভিনগ্রহের ভাষায় লিপিবদ্ধ হতে পারে এই লিপি। তবে বইটিতে খুব অল্পসংখ্যক উচ্চ জার্মান এবং লাতিন ভাষার শব্দ পাওয়া গেছে।

বইটির আকার ২৩.৫ সেন্টিমিটার * ১৬.২০ সেন্টিমিটার *৫ সেন্টিমিটার। এটি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। বইটির ২৭২টি পৃষ্ঠার মধ্যে ২৪০টি অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এর লেখক সম্পর্কে কোনো ধারণা পাওয়া যায়নি। এটি কোথায় পাওয়া গেছে তারও নির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। তবে গবেষকরা বলছেন, পাণ্ডুলিপিটি সম্ভবত ইতালির উত্তর অঞ্চলের কোথায় পাওয়া গেছে। অনেকে বর্ণনা করেন পাণ্ডুলিপিতে ভেষজ বা আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাবিদ্যার নানা দিক নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা রয়েছে, যা সত্যিই অবাক করে। তবে এর কোনো সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যাখ্যা এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

১৯১২ সালে বইটি কিনে নেন বইয়ের ব্যবসা করা উইলফ্রিড ভয়নিচ। তার নামেই বইটির এই নামকরণ হয়েছে। উইলফ্রিড মারা যাওয়ার পর তার স্ত্রী বইটির মালকিন হয়ে যান। আবার তার মৃত্যুর আগে তিনি বন্ধু এন নীলকে উপহার দেন। এন পরে এক ব্যবসায়ীর কাছে তা বিক্রি করেন।

পাণ্ডুলিপিকে কেন্দ্র করে অনেক উপন্যাসও লেখা হয়েছে। বেশ কয়েকজন ঐতিহাসিক দাবি করেছেন যে এই লিপি এলিয়েনদের সৃষ্টি। এরপর তা নিয়ে হয়েছে অনেক গবেষণা। সেই গবেষণা বলছে এই লিপি লেখা হয়েছে আনুমানিক ১৪০৪ থেকে ১৪৩৮ সালে। চামড়া দিয়ে কাগজ তৈরি করে তাতে লেখা হয়েছিল। তবে ভাষার অর্থ এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। নানা ছবি ও রেখাচিত্র দিয়ে ভরা এই বইয়ে এমন কিছু গাছের ছবিও আছে যার কোনো অস্তিত্ব নেই।

 
Electronic Paper