যেমন- ব্যাকটেরিয়াজনিত ঘা রোগের জন্য ডাক্তার মাছ প্রথমে তার মুখ দিয়ে ঠুকরে ঠুকরে ঘায়ের ওপরের ময়লা সরিয়ে ক্ষতস্থানটি জীবাণুমুক্ত করে, নিজের মুখে থাকা মলম ঘায়ের ওপর লাগিয়ে দেয়। আর তাতেই রোগীর উপশম হয়। ডাক্তার মাছেরা চিকিৎসার আগে নিয়ম মতো রোগ পরীক্ষা করে। রোগীর ওপর নিচে গিয়ে ঘা এবং পরজীবী আছে তা শনাক্ত করে। কখনো কখনো মাছকে তার ফুলকা খাড়া করতে হয়। কান ও মুখ খুলে দেখাতে হয়। তারপর সে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পরিষ্কার করে চিকিৎসা করে।

এ ডাক্তার মাছের মধ্যে এক শ্রেণির ডেন্টিস্ট মাছও আছে। যারা বড় দাঁতওয়ালা মাছদের দাঁতের চিকিৎসা করে। কারণ, এ ধরনের দাঁতওয়ালা মাছে মুখে প্রচুর ব্যাকটেরিয়া জন্মে। তাই এ মাছকে শরণাপন্ন হতে হয় ডেন্টিস্ট মাছ রেসির কাছে। আর সে নির্ভয়ে মাছের মুখের ভেতর ঢুকে দাঁত ও মুখের ঘা পরিষ্কার করে।

গ্রীষ্মম-লীয় সাগরে সাধারণত ডাক্তার রোগীর সম্পর্ক থাকলেও নাতিশীতোষ্ণ ম-লে অনেক রোগী চিকিৎসার পর ডাক্তার মাছকে সাবাড় করে ফেলে। আসলে ডাক্তার মাছের চিকিৎসায় রোগী মাছ সুস্থ হয় কি-না এ বিষয়ে পরীক্ষা করার জন্য সিলমাস নামক একজন বিজ্ঞানী বাহামা দ্বীপের পানির একটি অংশ থেকে ডাক্তার মাছের সরিয়ে নেন এবং ওই স্থানে বাসকারী মাছের দিকে নজর রাখেন এবং আশ্চর্য ফল লক্ষ্য করেন।

যেখানে প্রচুর মাছের বাস ছিল তা কিছুদিনের মধ্যে কমতে থাকে। দুই সপ্তাহের মাথায় সেখানে প্রকৃত অর্থে কোনো মাছই ছিল না। যেগুলো ছিল সেগুলো রুগ্ন, শরীরে নানা অসুখ-বিসুখে ভরা। তাহলে অন্য মাছ গেল কোথায়? তাদের মধ্যে অনেক রোগে মারা গেছে আর বাকিরা তাদের ডাক্তার ডাকতে গেছে। এরপরও কি মাছের ডাক্তার কথাটি প্রমাণের আর দরকার পড়ে।