রহস্যময় সমাধিক্ষেত্র
ডেস্ক রিপোর্ট
🕐 ১:১৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৯, ২০২০
বিশ্বসেরা শাসকদের নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। তাদের জীবনটাই ছিল অনেকটা এমন। হাজার হাজার বছর আগে তারা পৃথিবী শাসন করেছেন। তবে তাদের ব্যাপারে জানার আগ্রহ এখনো মানুষের মেটেনি। বেঁচে থাকতে যতখানি কৌতূহল সৃষ্টি করেছিলেন মরে যাওয়ার হাজার বছর পরও তা বিরাজমান।
চেঙ্গিস খান কিংবা রানি ক্লিওপেট্রা বিশ্বখ্যাত এরকম অনেক শাসনকর্তাদের সমাধিই খুঁজে পাওয়া যায়নি। মারা যাওয়ার পর কোথায় তাদের সমাধি দেওয়া হয়েছিল এখনো তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। চলুন এমনই কিছু শাসকের কথাই জানব আজ-
চেঙ্গিস খান : চেঙ্গিস খানের নাম শোনেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না বললেই চলে। অনেকে অবশ্য তাকে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় লুটেরা বলেও অভিহিত করেন। তার জীবন যেমন কালে কালে মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে, তেমনই তার মৃত্যুর ঘটনা ইতিহাসকে করেছে বিস্মিত। চেঙ্গিস খান ১২২৭ সালে মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো তথ্য আজও মেলেনি। যুগ যুগ ধরে মানুষ এই মঙ্গোলীয় সম্রাটের সমাধিক্ষেত্র খুঁজে বেড়িয়েছে। কেউ কেউ নিজের সমগ্র জীবন অতিবাহিত করেছে এই সমাধি খোঁজার পিছনে। আর কেউবা এখনো খুঁজে চলেছে ইতিহাসের পাতায়।
আতিলা দ্য হান : আতিলা ছিলেন হুন জাতির একজন শাসক। যিনি ৪৩৪ খ্রিস্টাব্দ হতে ৪৫৩ খ্রিস্টাব্দে তার মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত সিংহাসনে আসীন ছিলেন। এই সাহসী দুর্ধর্ষ যোদ্ধার শাসনামলে হুনিক সাম্রাজ উরাল নদী থেকে রাইন নদী এবং দানিউব নদী থেকে বাল্টিক সাগর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। ৪৫৩ সালে আতিলা মৃত্যুবরণ করেন। আজও তার সমাধি খুঁজে পাওয়া যায়নি। এমনকি তার মৃত্যু নিয়েও রয়েছে রহস্য। স্ত্রীর হাতে খুন হয়েছিলেন নাকি এমনিতেই মারা গিয়েছিলেন তা এখনো ধোঁয়াশা।
রানি ক্লিওপেট্রা : পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর নারীর কথা আসলেই শুরুতে আসে ক্লিওপেট্রার নাম। প্রাচীন মিসরের শেষ ফারাও ছিলেন রানি ক্লিওপেট্রা। তার রাজ্যকে রোমানদের থেকে মুক্ত রাখতে যুদ্ধ করে গেছেন তিনি। সেই সঙ্গে অপরূপ সৌন্দর্যের অধিকারী ছিলেন এই নারী। তার রূপে মুগ্ধ হয়েছেন অনেক দেশের রাজারা। ক্লিওপেট্রাও আত্মহত্যা করেন। তবে অনেকের মতে তিনি আত্মহত্যা করেননি, তাকে হত্যা করা হয়েছিল। ৩৯ বছরের জীবন যতটা নাটকীয় ছিল তার থেকে বেশি আলোচনা জন্ম দেয় তার মৃত্যু রহস্য।