চীনের মহাপ্রাচীর
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
🕐 ১০:৫৭ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১৯, ২০২০
চীনের মহাপ্রাচীর বা দ্য গ্রেট ওয়াল অব চায়না, বিস্ময়কর এই স্থাপত্যের কথা শুনেনি এমন মানুষ পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন। চীনে একে ডাকা হয় ‘ছাং ছং’ বা দীর্ঘ প্রাচীর নামে। দীর্ঘ এ প্রাচীরের সারির প্রায় পুরোটাই মাটি ও পাথর দিয়ে তৈরি। আক্রমণকারীদের দূরে রাখা এবং সামরিক অনুপ্রবেশ ঠেকানোই ছিল এ বিশাল প্রাচীর নির্মাণের উদ্দেশ্য।
পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্যের একটি হল চীনের এই মহাপ্রাচীর। এটি মানুষের হাতে তৈরি সবচেয়ে বড় স্থাপত্য। এই প্রাচীর প্রায় পাঁচ থেকে আট মিটার উঁচু এবং আট হাজার ৮৫২ কিলোমিটার লম্বা। প্রাচীরটির নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছিল প্রায় ২ হাজার ৭০০ বছর আগে চিহলি-পুরনো নাম পোহাই উপসাগরের কূলে শানসীকুয়ান থেকে। শেষ হয়েছিল কানসু প্রদেশের চিয়াকুমান নামক স্থানে। চীনের অনেক রাজবংশ এ প্রাচীর নির্মাণে অপূরণীয় ভূমিকা রেখেছেন।
প্রাচীরটি চীনের উত্তর সীমান্তের রাজ্য এবং রাজ্য সংরক্ষণের জন্য তৈরি করা হয়েছিল। ইউরোশিয়ান সীমান্ত থেকে যাযাবরদের আক্রমণ প্রতিরোধের জন্য পূর্ব থেকে পশ্চিম সীমান্তে এটি নির্মাণ করা হয়। চীনের ইতিহাসে প্রায়শই দেখা যায় যে, ঐতিহাসিকরা প্রাচীরটিকে ১০ হাজার মাইল দীর্ঘ প্রাচীর নামে অভিহিত করতেন। একই বক্তব্যটি ইতিহাসবিদ ‘সিমা কিয়ান’ এর বর্ণনায়ও দেখা যায়। যদিও ১০ হাজার সংখ্যাটি এর প্রকৃত দৈর্ঘ্যকে না বুঝিয়ে কতটা দূরত্বে তা বোঝার জন্য ব্যবহার করা হতো।