চাঁদের রহস্য
ডেস্ক রিপোর্ট
🕐 ১১:২৯ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১২, ২০২০
মহাবিশ্বে পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের প্রতিবেশী ‘চাঁদ’। একেক প্রজন্মের কাছে এর পরিচয় একেক রকম। ছোটবেলায় চাঁদকে সুতো কাটা বুড়ির ছোট্ট ঘর হিসেবে কল্পনা করে বাচ্চারা। কখনো কখনো একে উপমা হিসেবে ব্যবহার করেন বিভিন্ন বয়সের রোমান্টিক লোকজন। কিন্তু এসবই কল্পনা মাত্র। অন্যদিকে, চাঁদ নিয়ে সবারই জল্পনা কল্পনারও যেন শেষ নেই। তবে জেনে নিন চাঁদ সম্পর্কিত রহস্যময় কিছু তথ্য—
চন্দ্রকথা : প্রচলিত তত্ত্বানুযায়ী, আজ থেকে সাড়ে চার বিলিয়ন বছর আগে সোলার সিস্টেম গঠিত হওয়ার অল্প কিছুকাল পরে অনেকটা মঙ্গল গ্রহের মতো আকৃতির একটি শিলা ভূ-ত্বকের কঠিন অংশ পৃথিবীর সঙ্গে জোরে সংঘর্ষ হওয়ার ফলেই চাঁদের সৃষ্টি।
চাঁদের রূপ : পৃথিবী থেকে আমরা সবসময়ই চাঁদের একই চেহারা দেখে থাকি। যদিও পৃথিবী ও চাঁদ উভয়ই নিজ নিজ কক্ষপথে ঘুরছে, তবুও চাঁদ (যতটুকুই দেখা যায়) সর্বদা একই রকম, কেননা অনেক আগেই পৃথিবীর মহাকর্ষীয় প্রভাব চাঁদের নিজস্ব কক্ষপথের ঘূর্ণনকে ধীরগতির করে দিয়েছে। তাই এর অরবিটাল পিরিয়ড ও রোটেশন পৃথিবীর সঙ্গে মোটামুটি মিলে যাওয়ায় চাঁদের ‘ছবি’ (অমাবস্যা-পূর্ণিমার ব্যাপার ভিন্ন) আর পরিবর্তিত হয় না।
মুন-ট্রি : পৃথিবীর বুকে থাকা ৪০০’র বেশি গাছ এসেছে চাঁদের মাটি থেকে! আসলে ব্যাপারটি হচ্ছে, ১৯৭১ সালে অ্যাপোলো ১৪ মিশনে নভোচারী স্টুয়ার্ট রোসা প্রায় ৫০০’র মতো উদ্ভিদ-বীজ সঙ্গে করে চাঁদে নিয়ে যান এবং লুনার সার্ফেসে রোপণ করেন। পরে সেগুলো পৃথিবীতে ফিরিয়ে এনে অঙ্কুরিত করা হয়। গাছগুলো এখনো বেঁচে আছে। এগুলো ‘মুন-ট্রি’ নামে পরিচিত।