ঢাকা, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

সবুজের সমারোহ

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি
🕐 ১২:২১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ০৯, ২০২০

বগুড়ার নন্দীগ্রামে কৃষকের সোনালি স্বপ্ন এখন সবুজের সমারোহ। সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা আমাদের এ দেশ। এ দেশের কৃষকের সোনালি স্বপ্ন হচ্ছে তাদের উৎপাদিত ধান। ধানের রঙ সোনালি তাই ধানকে সোনালি ফসল বলা হয়ে থাকে।

বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলাকে শস্যভাণ্ডার হিসেবে গণ্য করা হয়। এ উপজেলার ফসলি জমিতে অনেক উর্বর শক্তি রয়েছে। সে কারণে এ উপজেলায় বছরে ৩ বার ধানের চাষাবাদ করা হয়ে থাকে। এর পাশাপাশি রবিশস্যেরও চাষাবাদ করা হয়।

এবারো তার ব্যতিক্রম হয়নি। চলতি আমন মৌসুমে উপজেলায় ১৯ হাজার ১১৮ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করা হয়েছে। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮২ হাজার ৯৬২ মেট্রিক টন ধান। এ উপজেলায় ব্রিধান-৪৯, ব্রিধান-৩৪ ও কাটারিভোগ সহ বিভিন্ন জাতের ধানের চাষাবাদ করেছে কৃষকরা। 

উপজেলার বিভিন্ন মাঠের ফসলি জমিতে এখন ধানের শীষ বের হতে শুরু করেছে। এদিকে ফসলি জমির যথারীতিভাবে যতœ নিতে ব্যস্ত রয়েছে কৃষকরা।

মাজরাপোকা, ছত্রাক ও বালাই দমনে পূর্বপ্রস্তুতি রেখেছিল কৃষকরা। যাতে ভালোভাবে ফসল উৎপাদন করা যায়। আমন ধানের বাম্পার ফলন হলে কৃষকরাই সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়। এ উপজেলার কৃষকদের উৎপাদিত ধান দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। কৃষকরা ধানের ন্যায্যমূল্য পেলে আরও বেশি খুশি হয়।

উপজেলার হাটলাল গ্রামের কৃষক আফছার আলী বলেন, আমি ২০ বিঘা জমিতে আমন ধানের চাষাবাদ করেছি। কিছুদিন আগে ফসলি জমিতে মাজরাপোকা আক্রমণ করলে কীটনাশক স্প্রে করে মাজরাপোকা দমন করা হয়েছে। আমাদের মাঠে পার্চিং পদ্ধতি তেমন নেই বললেই চলে। আর পার্চিং পদ্ধতি মাজরাপোকা দমনে তেমন উপকারে আসছে না। তাই কীটনাশক স্প্রে করে মাজরাপোকা দমন করতে হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আদনান বাবু বলেন, আমন ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে আমরা মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক কাজ করে আসছি। কৃষকদের বিভিন্নভাবে পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। এবারো আমন ধানের ফসলি জমির চিত্র অনেক ভালো রয়েছে। তাই আশা করি এবারও আমন ধানের বাম্পার ফলন হবে।

 
Electronic Paper