ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

রাজশাহীতে আনন্দের বন্যা

মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী
🕐 ১১:০৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২০

একনেকে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে রাজশাহীর সমন্বিত নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন পাওয়ায় আনন্দের বন্যা বইছে। গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে নগর ভবন থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়।

বর্ণাঢ্য এ শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন মেয়রপত্নী নগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহীন আক্তার রেনী। শোভাযাত্রাটি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে নগর ভবনে এসে শেষ হয়। এতে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশ নেন। অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ। এর আগে গত মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ২ হাজার ৯৩১ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়।


নগর কর্তৃপক্ষ বলছে, এ প্রকল্পটি রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ইতিহাসে একক সর্ববৃহৎ প্রকল্প। এতে রাজশাহীর সামগ্রিক উন্নয়ন হবে, বদলে যাবে পুরো নগরীর চিত্র। দ্বিতীয় মেয়াদে ২০১৮ সালের ৫ অক্টোবর মেয়রের দায়িত্বভার নেওয়ার পর রাজশাহী নগরীকে তিলোত্তমা নগরীতে পরিণত করতে এ মেগা প্রকল্প তৈরিতে হাত দেন খায়রুজ্জামান লিটন। তিনি নগরীর সব উন্নয়ন চাহিদাকে একত্রিত করে তৈরি করা হয় এ প্রকল্প। প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়ায় একনেক সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নগরবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। তিনি বলেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে রাজশাহী নগরীর সামগ্রিক উন্নয়ন হবে। আরও বাসযোগ্য, আধুনিক এবং উন্নত শহরে পরিণত হবে আমাদের রাজশাহী।

এদিন শহরাঞ্চলে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চাইলে তাকে সহযোগিতা করার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বর্জ্য নিয়ে আমাদের সবার মাথাব্যথা এ মুহূর্তে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে চিন্তিত প্রধানমন্ত্রী। সরকারও চিন্তিত এটা নিয়ে। নানা ধরনের প্রস্তাব আসছে। একজন মন্ত্রী বর্জ্য নিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চান। বিদেশি কোনো কোনো কোম্পানি আসতে চায়।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আসুক। আমরা সহযোগিতা করব। যদি বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে এবং এটা আমাদের পরিবেশ ও চাহিদার সঙ্গে মিলেমিশে হয়, আমরা সহযোগিতা করব। প্রধানমন্ত্রীর অন্যান্য নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, শহরে আধুনিক কসাইখানা চাই। এখানে-সেখানে গরু জবাইয়ের স্বাভাবিক প্রবণতা আছে আমাদের। সেটা কমে আসা উচিত। শহরের জন্য আধুনিক কসাইখানা নির্মাণ করা উচিত। কিছু কিছু কসাইখানা নির্মিত হয়েছে। কোথাও কোথাও আন্ডার ইউটিলাইজ (ব্যবহারাধীন) আছে। সেগুলো যেন যথাযথভাবে ব্যবহার হয়, সেগুলোর জন্যও বলেছেন তিনি।

 
Electronic Paper