ফলের গন্ধে আতঙ্ক!
খোলা কাগজ ডেস্ক
🕐 ২:০৮ অপরাহ্ণ, মে ০২, ২০১৮
রাসায়নিক গ্যাস আতঙ্কে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন শহরের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী ও শিক্ষককে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
রাসায়নিক গ্যাস আতঙ্কের পেছনে ছিল তীব্র এক গন্ধ। কিন্তু পরে জানা গেল সেটি আসলে ডোরিয়ান ফল থেকে সৃষ্ট গন্ধ। আর এ ঘটনা ঘটেছে রয়্যাল মেলবোর্ন ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে।
ডোরিয়ান ফল হচ্ছে এক ধরনের গ্রীষ্মকালীন ফল যার তীব্র এবং অদ্ভূত গন্ধ রয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ডোরিয়ান এক ধরনের মিষ্টি ও দামি ফল হিসেবে পরিচিত। কিন্তু এর গন্ধ এতটাই তীব্র যে তার সাথে অভ্যস্থ হতে সময় লাগতে পারে যে কারো।
ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা বলেন, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র-ব্যবস্থার মাধ্যমে এই গন্ধ পুরো ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়ে। পরে মেলবোর্নের মেট্রোপলিটন ফায়ার ব্রিগেড এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ওই বিশ্ববিদ্যালয় ভবনটি এখন আবার খুলে দেয়া হয়েছে।
প্রথমে তীব্র গন্ধ পাওয়ার পর ছাত্র-ছাত্রী ও কর্মকর্তারা লাইব্রেরি ভবন থেকে গ্যাস বের হচ্ছে বলে ধারণা করেন। এর পরপরই স্থানীয় পুলিশ বাহিনী এসে তাদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়।
ফায়ার সার্ভিস বলেছে, ভবনটির ভেতরে বিপদজনক রাসায়নিক দ্রব্য আছে, এই বিবেচনায় গন্ধের উৎস খুঁজে বের করতে তারা প্রাথমিক একটি তদন্ত চালায়। ফলে সেই অনুযায়ী ব্যাপক অনুসন্ধানও শুরু করে তারা।
পরে তারা আবিষ্কার করেন যে, গন্ধটি কোনো রাসায়নিক গ্যাসের থেকে নয়, বরং তা আসছে ডোরিয়ান ফল থেকে। দেখা যায়, লাইব্রেরির একটি ডেস্কের ভেতরে থাকা পচে যাওয়া ডোরিয়ন থেকে এই গন্ধ ছড়াচ্ছে।
ডোরিয়ান এক ধরনের গ্রীষ্মকালীন ফল, আকার অনেকটা নারকেলের মতো। এর বাইরের আবরণ সবুজ এবং অসমান-অনেকটা কাটার মতো উঁচু। এর সঙ্গে বাংলাদেশের কাঁঠালের কিছুটা মিল আছে।
এই ফলটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্থানীয় একটি ফল এবং ওই অঞ্চলে সাধারণত হোটেল কক্ষ এবং পরিবহনে এটি বহন করা নিষেধ।
এই ফল সম্পর্কে যুক্তরাজ্যভিত্তিক স্মিথসোনিয়ান ম্যাগাজিনে বলা হয়েছে, ডোরিয়ানের গন্ধ পেঁয়াজ, তারপিন আর ঘেমে যাওয়া মোজার গন্ধ মেলালে যেমন হয়, তেমন উৎকট। সূত্র: বিবিসি