গাড়ির ইঞ্জিনে পাখির বাসা
ডেস্ক রিপোর্ট
🕐 ১২:০১ অপরাহ্ণ, জুলাই ২১, ২০১৯
তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারার কাছেই একটি ছোট্ট শহরে বাড়ি বাহাতিন গুরসির। আশপাশের বড় বড় শহরগুলোতে ট্রাক চালিয়ে মাল পরিবহনের কাজ করেন তিনি। এ বছর ইদের ছুটিতে বাড়ি ফেরেন বাহাতিন। বাড়ির সামনে খোলা জায়গায় রেখে দেন ট্রাক। তখনই ট্রাকের ইঞ্জিনে বাসা বাঁধে একটি ছোট পাখি। সেই বাসায় পাড়ে ডিমও। ছুটি শেষে ট্রাক নিয়ে বের হতে গিয়েই বিষয়টি লক্ষ করে বাহাতিন।
ট্রাকের ইঞ্জিনে দেখেন আস্ত একটি পাখির বাসা এবং কয়েকটি ডিম। আশপাশে মা পাখিটিকেও দেখতে পাননি তিনি। ট্রাক চালু করলেই ইঞ্জিনের ঝাঁকুনিতে ভেঙে যাবে বাসা। নষ্ট হবে ডিম। তখনই মনস্থির করেন বাহাতিন। যত দিন না ডিম ফুটে বাচ্চাগুলো বড় হয়ে উড়ে যাবে না, তিনিও ট্রাক চালাবেন না। তার এই সিদ্ধান্তে সহমত হয় তার পরিবারও।
ডিম ফুটে অপেক্ষার ৪৫ দিন পড় বাচ্চাগুলো উড়তে শিখলে তাদের নিয়ে বাসা ছেড়ে উড়ে যায় মা পাখি। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে তখনই ট্রাক নিয়ে বের হন বাহাতিন। এত দিন ট্রাক না চলায় আয় বন্ধ ছিল তার। ফিরিয়ে দিয়েছেন মোটা টাকার ভাড়ার বায়নাও। তবে ছোট পাখিগুলোকে বেড়ে ওঠার সুযোগ দিতে পেরে বেজায় খুশি এই ড্রাইভার।