ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

'কালো ইতিহাস' রয়েছে 'স্যান্তোসা' দ্বীপের

খোলা কাগজ ডেস্ক
🕐 ৪:০৯ অপরাহ্ণ, জুন ১১, ২০১৮

ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কিম জং উনের মধ্যে বৈঠকের জন্য সিঙ্গাপুরের যে জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে সেই স্যান্তোসা দ্বীপের গা শিউরে উঠার মতো কালো ইতিহাস রয়েছে।

যা এক সময় মানুষের চোখের জল ঝরিয়েছিল। খবর দ্য গার্ডিয়ান ও নিউজ ডট কম এইউয়ের।
খবরে বলা হয়, ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য স্যান্তোসা বর্তমানে সিঙ্গাপুরের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি স্থান। বর্তমান নাম 'শান্তি এবং প্রশান্তি' হলেও এর অন্য একটি নাম রয়েছে। তা হলো পালাউ বেলাকাং মাটি, যার অনুবাদ করলে অর্থ দাঁড়ায়, 'পেছনে মৃত্যুর দ্বীপ'।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মৃত্যু এবং রক্তপাতের সঙ্গে দ্বীপের একটা সম্পর্ক এখনও তাড়িয়ে বেড়ায় স্থানীয়দের। ১৯৪২ সালে জাপানি বাহিনীর কাছে সিঙ্গাপুর আত্মসমর্পণ করার পর স্যান্তোসা অস্ট্রেলিয়া ও বিট্রিশ বন্দীর জন্য নিষ্ঠুর এক ক্যাম্পে পরিণত হয়।
জাপানি দখলদারিত্বের সময় এটা তখন সিঙ্গাপুরের চীনা নাগরিকদের জন্য একটা হত্যাক্ষেত্রও হয়ে উঠে। যেখানে জাপানবিরোধী কাজের জন্য তাদের অভিযুক্ত করে নির্যাতন ও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হতো।
যাদের অভিযুক্ত করা হয়েছিল তাদের বেশিরভাগই বেসামরিক মানুষ ছিল। তাদেরকে দুই কিলোমিটার এলাকার সমুদ্র সৈকতে গোলাকারভাবে রাখা হতো (এখন একটি বৃহদায়তন গলফ কোর্স) এরপর গুলি করে হত্যার পর মৃতদেহ সাগরে ফেলে দেওয়া হতো।
স্ট্রেইটস টাইমসের রিপোর্ট বলছে, জাপানি দখলদারিত্বের সময় প্রায় ৩০০ মৃতদেহ সৈকতে ভেসে আসে।
তবে ১৯৭০ দশকে দ্বীপের পরিবর্তন আসে। এসময় সিঙ্গাপুরের সরকার দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য জনপ্রিয় করে তোলার উদ্যোগ নেন। এরপর থেকে সেখানকার পরিবেশ পরিবর্তনের পাশপাশি পাল্টে যায় নামও।
প্রসঙ্গত, আগামীকাল মঙ্গলবার সিঙ্গাপুরের 'স্যান্তোসা' দ্বীপের কাপেল্লা হোটেলে অনুষ্ঠিত হবে ট্রাম্প ও কিমের মধ্যকার সেই ঐতিহাসিক বৈঠক। কয়েক মাস ধরে দু'জনের মধ্যে উত্তেজনাকর বাক্য বিনিময়ের পর এই বৈঠকে কি ফলাফল আসে সেদিকে তাকিয়ে বিশ্ববাসী।

 
Electronic Paper