ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

তিমির পেটে ৪০ কেজি প্লাস্টিক!

ডেস্ক রিপোর্ট
🕐 ১১:৫৭ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ১৯, ২০১৯

ফিলিপাইনের সমুদ্রতীরে একটি মৃত তিমি মাছ ভেসে এসেছে যেটির পাকস্থলীতে ৪০ কেজি পরিমাণ (প্রায় ৮৮ পাউন্ড) প্লাস্টিকের ব্যাগ পাওয়া গেছে। ডিবোন কালেক্টর মিউজিয়ামের কর্মচারীরা এ বছর মার্চের শুরুতে তিমি মাছটিকে উদ্ধার করে দাভাও সিটির পূর্বাঞ্চল থেকে। মিউজিয়ামটির এক ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, একটি তিমির ভেতরে এত বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিক তারা (মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ) আগে কখনো দেখেননি। বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিমির পাকস্থলীতে ১৬টি চালের বস্তা এবং বিপুল পরিমাণ শপিং ব্যাগ ছিল বলে উল্লেখ করে মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া মৃত তিমির পাকস্থলীতে আরও কী কী জিনিস পাওয়া গেছে তার বিস্তারিত তালিকা আগামী কয়েকদিনের মধ্যে প্রকাশ করবে বলে জানিয়েছেন তারা।

প্রসঙ্গত, ফিলিপাইনসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশ সমুদ্রে বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিক বর্জ্য নিক্ষেপ করে। পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ে প্রচারণা চালানো প্রতিষ্ঠান ওশ্যান কনসার্ভেন্সি ও ম্যাককিনসে সেন্টার ফর বিজনেস অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ২০১৫ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতিবছর সমুদ্রে যে পরিমাণ প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলা হয় তার ৬০ শতাংশের জন্য দায়ী এশিয়ান পাঁচটি দেশ। দেশগুলো হলো চীন, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ড।

গত বছরে থাইল্যান্ডে একটি তিমির মৃতদেহ পাওয়া যায় যেটি ৮০ কেজি পরিমাণ প্লাস্টিক ব্যাগ গিলে ফেলায় মারা যায়। এরপর ওই বছরের নভেম্বরে ইন্দোনেশিয়ায় একটি তিমি মাছের পাকস্থলীতে ১১৫টি কাপ, ৪টি প্লাস্টিকের বোতল, ২৫টি প্লাস্টিকের ব্যাগ এবং দুই জোড়া প্লাস্টিকের জুতো পাওয়া যায়।

এদিকে বিশ্বজুড়েই সমুদ্রে প্লাস্টিকের আবর্জনা বাড়ছে। ২০১৫ সালের এক সমীক্ষায় অপর এক সমীক্ষায় বলা হয়, প্রতিবছর সমুদ্রে গিয়ে পড়ছে প্রায় আশি লাখ মেট্রিক টন প্লাস্টিক। ওই বছর যুক্তরাজ্য সরকারের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, আগামী দশকের মধ্যে সমুদ্রে প্লাস্টিক বর্জ্যরে পরিমাণ তিনগুণ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

 
Electronic Paper