ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

৫০ বছর পর পাওয়া গেল বন্ধুর পাঠানো টেলিগ্রাম

রকমারি ডেস্ক
🕐 ৭:১৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ১১, ২০১৯

টেলিগ্রামের প্রয়োজনীয়তা আগেই ফুরিয়েছে। ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নও তাদের টেলিগ্রাম সেবা বন্ধ করে দিয়েছে ২০০৬ সালে। ইন্টারনেটের এই যুগে তাই হঠাৎ করে গত মাসে একটি টেলিগ্রাম পেয়ে অবাক হয়ে যান যুক্তরাষ্ট্রের রবার্ট ফিঙ্ক নামের এক ব্যক্তি। সেখানে তার বন্ধুদের লেখা একটা অভিনন্দন বার্তা ছিল। যদিও তা ছিল ৫০ বছর আগের।

জানা গেছে, ১৯৬৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিঙ্ক গ্রাজুয়েশন ডিগ্রী লাভ করেন্। ওই সময় তার এক বন্ধু তাকে অভিনন্দন জানিয়ে একটা টেলিগ্রাম করেন। তাতে লেখা ছিল ‘তোমার ডিগ্রী নেওয়ার সময় অভিনন্দন জানানোর জন্য উপস্থিত থাকতে না পারায় আমরা দুঃখিত। তবে আমাদের ভালোবাসা ও শুভকামনা সবসময় থাকবে তোমার জন্য।’- শুভেচ্ছান্তে ডা.ফিচম্যান এবং মিসেস ফিচম্যান।

টেলিগ্রামটি পাঠানো হয়েছিল ১৯৬৯ সালের ২ মে। কিন্তু তার একদিন আগেই ফিঙ্ক তার আপার্টমেন্টটা ছেড়ে দিয়েছিলেন। এ কারণে চিঠিটা তিনি আর পাননি।

গত বছরের ডিসেম্বরে হঠাৎ করেই ফিঙ্ক মিশিগান থেকে একজন অচেনা ব্যক্তির ইমেইল পান। ক্রিস্টিনা জাসেক নামের এক নারী লিখেছেন কাজ করতে গিয়ে একটা ক্যাবিনেট গোছানোর সময় তিনি একটা টেলিগ্রাম পেয়েছেন ফিঙ্কের নামে।

ফিঙ্ক বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে কি ইমেইলটি পেয়ে প্রথমে আমার মনে সন্দেহ জেগেছিল। ভেবেছিলাম, মিথ্যে করে কেউ এটা লিখেছে’।

তিনি আরও বলেন, পরে জেনেছি জাসেকের কোম্পানি মিশিগান ইউনিভার্সিটিতে ক্যাবিনেট বদলানোর সময় একটা ক্যাবিনেটে ওই টেলিগ্রামটি দেখতে পান। পরে ক্রিস্টিনা জাসেক তাকে খুঁজে বের করে ইমেইলটি করেন।

ফিঙ্ক জানান, ১৯৬৯ সালে নিজের অ্যাপার্টমেন্টটি ছেড়ে দেওয়ায় তিনি আর ওই টেলিগ্রামটি পাননি। বাড়ির মালিক তার নতুন বাসার ঠিকানা না জানায় টেলিগ্রামটি ইউনিভার্সিটিতেও ফেরত পাঠানো হয়।

ফিঙ্ক বলেন, ‘ ভাগ্যের কি অদ্ভুত পরিহাস! আমি জীবনে একটামাত্র টেলিগ্রামই পেলাম। সেটাও পোস্ট করার ৫০ বছর পরে’।

আফসোসের সুরে ফিঙ্ক আরও বলেন, ‘টেলিগ্রামটির জন্য ফিচম্যান দম্পতিতে কোনদিন ধন্যবাদ জানাতে পারবো না কারণ তারা আর বেঁচে নেই’। সূত্র : ইনসাইড এডিশন

 
Electronic Paper