২৬০ কেজির বেশি ওজন কমিয়েছেন তিনি
অনলাইন ডেস্ক
🕐 ১০:২৮ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৩
কেসি কিংয়ের বয়স ৩৮ বছর। বাড়ি যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে। নিজের বিশালাকার শরীরের কারণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জনপ্রিয়তা পান তিনি। একসময় তাঁর ওজন ছিল ৩৫৫ কেজি। নানা জটিলতা পেয়ে বসেছিল তাঁকে।
তাই ওজন কমানোর চেষ্টা করেন কেসি। কমিয়েও ফেলেন ২৬০ কেজির বেশি। ওজন কমানোর পুরো যাত্রাটা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনুসারীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন কেসি। সাড়াও পেয়েছেন বেশ।
২০১৪ সালের ঘটনা। কেসির ওজন তখন ৩৫৫ কেজি। বাড়তি ওজনের কারণে হাঁটাচলা, নিত্যদিনের কাজ করতেও রীতিমতো সমস্যা হয় তাঁর। একদিন হঠাৎ বাথরুমে আটকে যান তিনি। টানা ১১ ঘণ্টা তাঁকে সেখানে আটকে থাকতে হয়।
এই ঘটনা চোখ খুলে দেয় কেসির। বুঝতে পারেন, বেঁচে থাকতে হলে অতিরিক্ত ওজন ঝরিয়ে ফেলতে হবে তাঁকে। তাঁর মা সন্তানের বাড়তি ওজন নিয়ে উদ্বেগে ভুগতেন। বয়স যখন বিশের কোটায়, তখনই শহরের সবচেয়ে মোটা ব্যক্তির তকমা পান কেসি।
তখন কেসির অবস্থা আসলেই শোচনীয়। নিজে নিজে জুতা পরা, কাপড় পরা, বাথরুম ব্যবহার, গোসল করা—কিছুই করতে পারতেন না তিনি। নির্ভর করতে হতো অন্যের ওপর। এই পরিস্থিতি কেসির মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
সামগ্রিক পরিস্থিতি কেসিকে ওজন কমানোর ‘অভিযানে’ নামতে বাধ্য করে। কয়েক বছর পর ব্যায়ামাগারে (জিমে) যান কেসি। শুরু করেন শারীরিক পরিশ্রম করা, সাঁতার কাটা। ক্যালরি ঝরাতে সপ্তাহে চারবার করে দুই ঘণ্টার জন্য জিমে যাওয়া শুরু করেন তিনি। ২০১৮ সালে আরও ওজন কমাতে করান অস্ত্রোপচার। এর ফলও মিলে। কয়েক বছরের মধ্যে তাঁর ওজন কমে ২৬০ কেজির বেশি।
সংবাদমাধ্যমকে কেসি বলেন, বাড়তি ওজন বেশ ভুগিয়েছে তাঁকে। ওজন বাড়তি হওয়ায় ছোটবেলায় কেউ তাঁর সঙ্গে মিশতে চাইত না। বন্ধুহীন একা বেড়ে উঠেছেন তিনি। এই হতাশা কাটাতে বেশি বেশি খেতেন কেসি। আস্ত এক ব্যাগ ফ্রেঞ্চ ফ্রাই আর ম্যাকডোনাল্ডসের বড় একটা বার্গার নিমেষে সাবাড় করে দিতেন তিনি।
তবে ২৬০ কেজির বেশি ওজন কমিয়েও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেননি কেসি কিং। ওজন কমানোর বিভিন্ন পর্যায়ে তাঁর শরীরের ত্বক কুঁচকে যেতে শুরু করে। এই ত্বক মসৃণ করতে এখন আবারও নিজেকে চিকিৎসকের ছুড়ি-কাঁচির নিচে সপে দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন তিনি।