শিশুর ঘরের সজ্জা
লাইফস্টাইল ডেস্ক
🕐 ৩:১৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১০, ২০১৮
নিজের ঘর থেকে শিশুর ঘরটি হওয়া চাই আকর্ষণীয়। এটি সাজাতে হবে পরিপাটি করে। খেয়াল রাখতে হবে বাচ্চাদের ঘর একটু নোংরা বেশি হয়। তাই কেমন হবে তাদের ঘরের দেয়াল ও আসবাবপত্র আসুন জেনে নিই।
ঘরে রঙের মেলা
শিশুদের ঘরে সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে রঙের ব্যবহার। যে কোনো উজ্জ্বল রং যেমন লাল, নীল, সবুজ, হলুদ ব্যবহার করতে পারেন। ফার্নিচারেও করতে পারেন এর সঙ্গে মানান সই রং। অন্য জিনিসপত্রেও থাকবে রঙের ছোঁয়া।
দেয়াল সজ্জা
ঘরের ভেতর ঢুকতেই প্রথমে যা চোখে পরে তা হচ্ছে ঘরের দেয়াল। সেই ক্ষেত্রে আপনি আপনার সন্তানের পছন্দের কার্টুন চরিত্র দিয়ে ফুটিয়ে তুলতে পারেন তার ঘরের দেয়ালটি। নকশার ওয়াল পেপারের চেয়ে রূপকথাভিত্তিক ওয়াল পেপার বা কার্টুনের কোনো চরিত্র বা জীবজন্তুর ছবি দেওয়া, পাখি বা মাছের ছবি এগুলো শিশুদের ঘরে বেশি আকর্ষণীয় হবে।
পর্দা
পর্দার ক্ষেত্রে যতটা সম্ভব হালকা রং ব্যবহার করতে পারেন। সুতি বা কটন কাপড়ের পর্দা নির্বাচন করতে পারেন। এতে সহজেই ঘরে আলো বাতাস যাবে।
আসবাবপত্র
শিশুর ঘরের আসবাব পত্রের রং হবে উজ্জ্বল। আসবাবপত্র হবে অনেকটা খেলার মতো। অপ্রয়োজনীয় আসবাবপত্রগুলো গুছিয়ে অন্য কোথাও রাখুন। মজার মজার কার্টুন আকারের কোনো আসবাব বেছে নিতে পারেন শিশুর ঘরের জন্য।
বিছানার চাদর
বিছানার চাদর আরামদায়ক না হলে শিশুর ঘুম ভালো হবে না এবং শিশুটির মেজাজ সব সময় খিটখিটে হয়ে থাকবে। রঙের ক্ষেত্রে রং যেমন সাদা, হালকা সবুজ, গোলাপি, হালকা নীল এসব রং নির্বাচন করা।
খেলার জায়গা
আপনার শিশুর ঘরের এক পাশে খেলার জিনিসপত্র দিয়ে আলাদা একটি জগৎ তৈরি করুন। সেখানে একটি মাদুর বিছিয়ে রাখতে পারেন যাতে বাচ্চারা সেটার ওপর বসে খেলতে পারে।
গাছ লাগান
শিশুর ঘরের ভেতর বনসাই গাছ লাগাতে পোরেন। আপনার শিশুর ঘরটি প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে।
লাইব্রেরি
ঘরের একদিকের দেয়ালে বই রাখার ব্যবস্থা করে দিন। ছোট থেকেই ওদের পড়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। দেখবেন ওরা যেন নাগালের মধ্যে পায়। ঘরের দেয়ালে না হলে আলাদা করে বুক স্টোরেজ বানিয়ে দিন।
আলো-বাতাস
বাচ্চাদের ঘরে জোরালো আলো হলেই ভালো হয়, কারণ কম আলোয় ওদের পড়াশোনা করতে অসুবিধে হবে। ওয়াইট কালার লাইট একদম পারফেক্ট কিডস রুমের জন্য।
স্টোরেজ
জামা-কাপড় এবং অন্যান্য জিনিস স্টোর করার জন্য মাল্টি পকেট অর্গানাইজারের ব্যবস্থা করুন। যাতে এক জায়গাতেই সব জিনিস পাওয়া যায়।