আইনের ঊর্ধ্বে কি ব্রিটিশ রানি?
ডেস্ক রিপোর্ট
🕐 ২:৪৯ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ০৭, ২০২২

যুক্তরাজ্য চালায় নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভা। এরপরও রাজপরিবার এখনও বহাল তবিয়তেই রয়েছে দেশটিতে। এখনও রানির নিরাপত্তার জন্য রয়েছে কুইন্স গার্ড। দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানও রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। তার নামেই যুক্তরাজ্যে জারি হয় রাষ্ট্রীয় আদেশ।
যুক্তরাজ্যে আইনের দৃষ্টিতে রানির অবস্থান সব কিছুর ঊর্ধ্বে। এ ক্ষেত্রে তিনি অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করেন। তাকে দেওয়ানি ও ফৌজদারি তদন্তের অধীনে বিচার করা যাবে না, এমনকি কোনো অপরাধেই তাকে আটক করা যাবে না।
গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রেও রানির কোনো ড্রাইভিং লাইসেন্স লাগে না। বাধা লাগে না সিটবেল্ট। ট্রাফিকের গতিসীমাও তাকে মানতে হবে না। যদি তিনি গতিসীমা লঙ্ঘনও করেন, পুলিশের কিছুই করার নেই। কারণ তার বিরুদ্ধে নেয়া যাবে না কোনো আইনানুগ পদক্ষেপ।
দেশের বাইরে ভ্রমণের ক্ষেত্রেও ব্রিটিশ রানি এলিজাবেথের কোনো পাসপোর্টের প্রয়োজন হয় না। কারণ যুক্তরাজ্যে তার নামেই ইস্যু হয় পাসপোর্ট। তাই তার কোনো পাসপোর্টের প্রয়োজন নেই। রানিকে কোনো ধরনের ট্যাক্স পরিশোধ করতে হয় না, এমনকি রাজপরিবারের কোনো আয়েও ট্যাক্স দিতে হয় না। তবে রানি অফিশিয়াল কাজে ব্যবহার হয় না এমন সম্পদের ক্ষেত্রে তিনি নিজ ইচ্ছায় ট্যাক্স দেন। যদিও তা দিতে তিনি বাধ্য নন।
রানি আইন মানতে বাধ্য নন, কারণ তিনিই আইন। এমন পরিস্থিতিতে কোনো পুলিশের সাধ্য নেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা। তিনি শুধু পুলিশকে বলবেন, এখান থেকে চলে যাও। পুলিশকে চলে যেতে হবে। কোনো কোর্টের মুখোমুখিও তাকে হতে হবে না।
তবে পার্লামেন্ট একটি উদ্যোগ নিতে পারবে, একজন খুনি রানিকে রাজক্ষমতা থেকে অপসারণের জন্য বিল উত্থাপনের মাধ্যমে। তবে এখানেও সমস্যা রয়েছে, কারণ সেই বিল কার্যকর হতেও রানির অনুমোদন লাগবে।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
