ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

আজমিরীগঞ্জে প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা চালিয়ে নিহতের ঘটনায় মামলা দায়ের

এনামুল হক মিলাদ, আজমিরীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
🕐 ১২:২৮ অপরাহ্ণ, মে ১৩, ২০২১

আজমিরীগঞ্জে প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা চালিয়ে নিহতের ঘটনায় মামলা দায়ের

হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার কাকাইলছেও ইউনিয়নের রাহেলা গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার (১১ মে) সকালে আনু মিয়া ও ইউ পি সদস্য শের আলীর পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আনু মিয়ার পক্ষের কামাল মিয়া (৫০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হওয়ার ঘটনার পর প্রতিপক্ষ ইউপি সদস্য শের আলীর পক্ষের লোকজনের বাড়িতে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এতে গবাদি পশুসহ অন্তত ২ কোটি টাকার মালামাল লুন্ঠন করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার।

এদিকে, নিহত কামাল মিয়ার বাবা ইয়াকুব আলী বাদী হয়ে মঙ্গলবার (১১ মে) রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আনিসুল ইসলাম জুয়েলকে প্রধান আসামি ও ইউপি সদস্য শের আলীকে দ্বিতীয় আসামী করে মোট ৬৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং শতাধিক অজ্ঞাতনামা আসামি রেখে আজমিরীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।

বুধবার (১২ই মে) দুপুরে সরেজমিনে উপজেলার কাকাইলছেও ইউনিয়নের রাহেলা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, নিহত কামাল মিয়ার বাড়িতে চলছে শোকের মাতম ও লাশ দাফনের কাজ। অন্যদিকে, বাড়িতে হামলা ও গ্রেপ্তার আতঙ্কে পুরুষশূন্য রয়েছে প্রতিপক্ষের বাড়িঘর।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের নারীদের সাথে আলাপকালে জানা যায়, সংঘর্ষের সময় কামাল মিয়া নিহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে আনু মিয়ার পক্ষের লোকজন ইউপি সদস্য শের আলীর লোকজনের বাড়ি-ঘরে হামলা ও লুটপাট চালায়। এ সময় অনন্ত ৬০ থেকে ৭০টি গাভী, ষাঁড়, চাল, ধান, টিভি, ফ্রিজ ইত্যাদি লুটসহ বসতঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়।

এর মধ্যে শের আলীর ৬টি গরু ও ৪০ মণ চাল, আরশ আলী মিয়ার ২টি গরু ও ৩০ মণ চাল, ফজল আলীর ২টি গরু ও ২০ মণ চাল, হাসান আলীর ৩টি গরু ও ২৫ মন চাল, আব্দুল ছোবানের ৪টি গরু, মারফত মিয়ার ৫টি গরু, ৪ মণ চাল, ১ টি শোকেস ও ১টি খাট, শরাফত আলীর ৮টি গরু, রান্নার হাড়ি-পাতিল ও ৮ মণ ধান, শুক্কুর আলীর ছেলে জালাল মিয়ার বসতঘরের জিনিসপত্র, কেরামত আলীর ছেলে রজব আলীর বসতঘর, হাজী মাহাতাব আলীর বসতঘর, রুবেল মিয়ার দোকান, রাশেদ মিয়ার দোকান, কবির মিয়ার দোকান, রফিক মিয়ার বসতঘর, শহিদ মিয়ার বসতঘর, খলিল মিয়ার বসতঘর, জমির মিয়ার বসতঘর, জাহাঙ্গীর মিয়ার বসতঘর, শাজাহান মিয়ার বসতঘর ও সাবাজ মিয়ার বসতঘর লুটপাটের ঘটনা ঘটে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ২ কোটি টাকার উপরে হবে বলে ধারণা করছেন এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম বলেন, নিহত কামাল মিয়ার পিতা বাদী হয়ে ৬৭ জনের নাম উল্লেখসহ শতাধিক ব্যক্তিকে অজ্ঞাতনামা রেখে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। সংঘর্ষের সময় নিহতের খবর ছড়িয়ে পড়লে লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এরপর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাহেলা গ্রামে পুলিশের একটি অস্থায়ী ক্যাম্প বসানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। আজ আমরা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। যদি লুন্ঠনে ক্ষতিগ্রস্তরা আমাদের অভিযোগ দেন, তবে আমরা যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

 
Electronic Paper