ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

অনৈতিক কাজের অভিযোগে ধরা ইউপি সদস্য, ছাড়িয়ে নিলেন চেয়ারম্যান!

আজমিরীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
🕐 ৯:০১ অপরাহ্ণ, মে ১০, ২০২১

অনৈতিক কাজের অভিযোগে ধরা ইউপি সদস্য, ছাড়িয়ে নিলেন চেয়ারম্যান!

হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জের জলসুখায় পরকীয়া প্রেমিকার সাথে অনৌতিক কাজ করার অভিযোগে জনতার হাতে আটক হয়েছেন শিহাব মিয়া (৪০) নামে এক ইউপি সদস্য। এ সময় জলসুখা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফয়েজ আহমেদ খেলু ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে জনতার কাছ থেকে ইউপি সদস্য শিহাব মিয়াকে ছিনিয়ে নিয়ে যান বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১০ মে, সোমবার ভোর আনুমানিক ৪টায় উপজেলার জলসুখা ইউনিয়নের ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জলসুখা ইউনিয়নের বাজার সংলগ্ন ইসবপুর গ্রামের জনৈক মালোশিয়া প্রবাসীর স্ত্রী ৩ সন্তানের জননীর সাথে বিগত বেশ কিছুদিন যাবত জলসুখা ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য ও নোয়াগড় গ্রামের বাসিন্দা শিহাব মিয়ার সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আত্মীয়তার নামে রাতের আঁধারে প্রায় সময় ওই নারীর ঘরে রাত্রি যাপন করতেন ইউপি সদস্য শিহাব। বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে আসলে এ নিয়ে এলাকায় নানান আলোচনা সমালোচনা হয়।

এর মধ্যেই সোমবার ইউপি সদস্য শিহাব মিয়া মদ্যপ অবস্থায় মহিলার সাথে রাত্রি যাপন করতে এসে অনৈতিক কাজ করার সময় এলাকাবাসী তাদের হাতেনাতে আটক করে।

এ বিষয়ে স্থানীয় কয়েকজন এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, সোমবার সেহরির আগ মুহূর্তে অনৈতিক কাজ করার সময় মদ্যপ অবস্থায় ওই মহিলার ঘরে ইউপি সদস্য শিহাবকে হাতেনাতে আটক করে এলাকাবাসী। এ সময় আজমিরীগঞ্জ থানায় ফোন দিয়ে বিষয়ি জানালে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরুল ইসলাম স্থানীয় চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানাতে বলেন। কিন্তু এর কিছু সময় পর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফয়েজ আহমেদ খেলু কয়েকজন লোক নিয়ে এসে বিষয়টি দেখবেন বলে ইউপি সদস্য শিহাব মিয়াকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায়। কিন্তু রহস্যজনক কারণে স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত না করে সোমবার সকালে শিহাব মিয়াকে নোয়াগড় গ্রামে পাঠিয়ে দেন।

এ বিষয়ে কথা বলতে কয়েকবার ইউপি সদস্য শিহাব মিয়ার ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বরে কল করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে জলসুখা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফয়েজ আহমেদ খেলু বলেন, বিষয়টি ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। উনি অন্য কারণে এখানে এসেছিলেন। ঝামেলা সৃষ্টি হলে আমি শিহাব মিয়াকে আমার বাড়িতে নিয়ে যাই। এরপর সকালে উনাকে উনার গ্রামে পাঠাই।

এ বিষয়ে আজমিরীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরুল ইসলাম জানান, সেহরির সময় একটি অপরিচিত নম্বর থেকে বিষয়টি আমাকে জানানো হয়। তখন আমি বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানিয়ে চেয়ারম্যানের মাধ্যমে আমাকে ফোন দিতে বলি। কিন্তু এরপর কেউ আর আমার সাথে যোগাযোগ করেননি।

 
Electronic Paper