ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

হাকালুকি হাওরে পিকনিক, আবর্জনায় নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ

রিপন দাস, বড়লেখা মৌলভীবাজার
🕐 ৭:৩০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২১

হাকালুকি হাওরে পিকনিক, আবর্জনায় নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ

মৎস্য এবং জলচর পাখিদের মিলনমেলার মিঠাপানির স্থল হাকালুকি হাওর। জীববৈচিত্রের গুরুত্ব বিবেচনায় দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ জলাভূমি এই হাওরটি।

শীত মৌসুমে পরিযায়ী পাখিদের বিচরণ সমৃদ্ধ করে রেখেছে এই স্থানটিকে। বহু বিরল মৎস্য প্রজাতি এই হাওরের প্রাণ প্রকৃতির সবচেয়ে বড় একটি অংশ। তবে, সম্প্রতি দেখা দিয়েছে অবস্থাপনার ছাপ। দলগত বনভোজন করে এর উচ্ছিষ্ট অংশ যত্রতত্র ফেলে দূষিত করে ফেলা হচ্ছে মূল্যবান এই স্থানটি।

বড়লেখা উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, হাকালুকি দেশের সবচেয়ে বড় হাওরের একটি। এর আয়তন প্রায় ১৮ হাজার হেক্টরের মধ্যে হাওরের আয়তন প্রায় সাড়ে চার হাজার হেক্টর।

পাঁচ উপজেলার জলাভূমির সমন্বয়ে এটি গঠিত। সবচেয়ে বড় অংশ রয়েছে বড়লেখা উপজেলায়।

সম্প্রতি এমন পিকনিক আবর্জনার চিত্র দেখে দারুণ মর্মাহত হন পাখিগবেষকরা। ইকোট্যুরিজম বিষয়টির প্রতি অজ্ঞানতা কিংবা উদাসীনতার ফলেই এমন দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি হয় বলেও জানান প্রকৃতিপ্রেমীরা।

বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের সদস্য এবং পাখিগবেষক তারেক অণু বলেন, ‘পিকনিকের অবশিষ্ট অংশ হাকালুকি হাওরে দেখে আমরা খুবই মর্মাহত হয়েছি। মানুষের আত্মসচেতনার যে কত অভাবে তা এই ছবিটি দেখলে বোঝা যায়। পরিবেশবান্ধব সচেতনাগুলো তৈরি জন্য নিজের সদিচ্ছাই যথেষ্ঠ।’

তিনি বলেন, ‘আইন করে ফাইন করে এগুলো আসলে কখনোই নির্মূল করা সম্ভব নয়, যদি না আমাদের ভেতর থেকে সচেতনতা এবং পরিবেশ-প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা আমাদের তৈরি না হয়। ৫০ জন গার্ড বা সিকিউরিটি দিয়ে এ বিশাল জলাভূমির প্রতিবেশ ব্যবস্থার দেখভালো করা কখনোই পসিবল নয়।’

শুধু হাকালুকি নয়, এমন দৃশ্য আমরা সুন্দরবনেও দেখেছি। দেখেছি সুনামগঞ্জের টাংগুয়ার হাওরেও। যা-ই বলি না কেন, পরিবেশ শিক্ষাটা আসলে ভেতর থেকে আসতে হবে। তবেই এমন দৃশ্যগুলো আর ফুটে উঠবে না বলেও জানান তারেক অণু।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম আল ইমরান বলেন, আমাদেরও একটি পরিকল্পনা রয়েছে যারা এখানে পিকনিক বা আউটিংয়ে আসেন তাদের নানাভাবে সচেতন করা। যাতে করে তারা এখানকার পরিবেশের ভারসাম্যগুলো নষ্ট না করে আনন্দ উপভোগ করেন।

এ জন্য আমরা সচেতনতামূলক সাইনবোর্ড, পরামর্শমূলক নানান ফেস্টুন টাঙানোর ব্যবস্থা করা হবেও জানান বড়লেখা ইউএনও।

 
Electronic Paper