ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

নেগেটিভ সনদধারী প্রবাসীর করোনা পজেটিভ

দিপু সিদ্দিকী, সিলেট
🕐 ৫:৩৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৫, ২০২১

নেগেটিভ সনদধারী প্রবাসীর করোনা পজেটিভ

সিলেটে যুক্তরাজ্য ফেরত নেগেটিভ সনদধারী এক প্রবাসী নারীর শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। পজেটিভের খবরে উদ্বিগ্ন সিলেটের স্বাস্থ্যসেবা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারিদের পাশাপাশি সিলেটের সর্বস্তরের মানুষ। ওই নারীর শরীরে করোনার নতুন ধরণের উপস্থিতি আছে কী না তা দ্রুত খতিয়ে দেখার দাবি সচেতনমহলের। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে নতুন ধরন শনাক্ত হওয়ার পর সিলেটে এ পর্যন্ত সহস্রাধিক যুক্তরাজ্য প্রবাসী দেশে ফিরেছেন।

প্রবাসীদের স্বজনরা জানান, যুক্তরাজ্যে একই ঘরে গাদাগাদি করে বাংলাদেশিদের বসবাসের কারণে করোনার আক্রান্তের হার এ অঞ্চলের মানুষের মধ্যে বেশি। করোনার নেগেটিভ সনদ ও কোয়ারেন্টিনে থাকার পরও যুক্তরাজ্য ফেরত প্রবাসী করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বেড়েছে সিলেটে। প্রবাসীরা দেশে আসলেও তারা যাতে সুস্থ থাকেন এবং তাদের মাধ্যমে করোনা যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সে ব্যাপারে স্বাস্থ্য বিভাগের নজরদারি বাড়ানোর তাগিদ তাদের। অন্যথায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের আঘাত সিলেটসহ গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

তাদের পরামর্শ, বিমানবন্দর ও কোয়ারেন্টিনে থাকা প্রবাসীদের স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ নজরদারি দেওয়া উচিত। যাতে রেমিটেন্সযোদ্ধা হিসেবে পরিচিত প্রবাসীরা দেশে ফিরে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে স্বস্তিতে থাকতে পারেন।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, পরীক্ষাকালে ওই রোগীর করোনার জীবাণু কম ছিলো তাই নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে। বিমানে যাত্রা ও কোয়ারেন্টিনে থাকার সময় জীবাণুর বৃদ্ধি পাওয়ায় পিসিআর টেস্টে পজিটিভ রিপোর্ট আসে। এতে আশঙ্কার কারণ নেই। যুক্তরাজ্য ফেরত ওই যাত্রীকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তার দেহে করোনার নতুন ধরণের উপস্থিতি আছে কী না তা পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হতে হবে।

সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, যুক্তরাজ্য ফেরত যাত্রীদের সঙ্গে করোনা নেগেটিভ সনদ থাকলেও তাদের বিমানবন্দরে থার্মাল স্ক্যানারের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হয়। তারা সরকার নির্ধারিত হোটেলে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকেন। এমনও হয় যাত্রী যুক্তরাজ্যে করোনা পরীক্ষাকালে হয়তো তার দেহে করোনার ভাইরাস কম ছিলো। পরবর্তীতে দেশে আসার পর তার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় করোনা পজেটিভ আসে।

তিনি আরও বলেন, করোনা শনাক্ত হওয়া প্রবাসী করোনার নতুন ধরন বহন করছেন কী না, তা জেনোম পরীক্ষা ছাড়া বলা যাবে না। তার নমুনা পরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে তার শরীরে পাওয়া করোনার আসল প্রকৃতি।

উল্লেখ্য, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ১ জানুয়ারি থেকে যুক্তরাজ্য থেকে আসা যাত্রীদের সঙ্গে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট থাকলেও ১৪দিন বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হতো। পরবর্তীতে ১৫ জানুয়ারি থেকে যুক্তরাজ্য থেকে আসা যাত্রীদের বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের পরিবর্তে চারদিন কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়।

সর্বশেষ শনিবার স্বাস্থ্য বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে ২৪ জানুয়ারি থেকে চারদিনের পরিবর্তে এক সপ্তাহ বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশনা জারি করা হয়।

 
Electronic Paper