রাত পোহালেই ভোট
কমলগঞ্জ পৌর নির্বাচন: ত্রিমুখী লড়াইয়ের আভাস
হৃদয় ইসলাম, মৌলভীবাজার
🕐 ৩:৫৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৫, ২০২১
রাত পোহালেই শনিবার অনুষ্ঠিত হবে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শেষ মুহূর্তে প্রার্থী ও সমর্থকরা রাতের ঘুম হারাম করে ভোট চাইছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান মেয়র জুয়েল আহমেদ, বিএনপির মনোনীত আবুল হোসেন, আওয়ামী বিদ্রোহী প্রার্থী বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন ও বহিষ্কৃত শ্রমিক লীগ নেতা হেলাল মিয়া।
পৌর এলাকার প্রধান সড়কসহ প্রতিটি অলিগলি পোস্টারে ছেয়ে গেছে। শেষ সময়ে সাধারণ মানুষের ধারণা লড়াই হতে পারে ত্রিমুখী। যদিও ইতিমধ্যে বিদ্রোহী দুজনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে তৃণমূলের ভোটারদের মধ্যে তাদের জনপ্রিয়তা থাকায় মেয়র পদে ‘ত্রিমুখী’ লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। প্রচ- শীত ও ঘন কুয়াশা উপেক্ষা করে উৎসবমুখর পরিবেশে প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রচারণার শেষ সময়ে প্রার্থীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন।
নির্বাচনে বিএনপির একক প্রার্থী থাকলেও দলের মধ্যে গ্রুপিং থাকায় সুবিধা করতে পারছেন না বিএনপির (ধানের শীষ) প্রার্থী আবুল হোসেন।
তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীরা মনে করেন, সব গ্রুপিং নিরসন করে সঠিক প্রার্থী নির্বাচন করলে হয়তো এবার বিএনপির বিজয় নিশ্চিত হতো।
তবে কমলগঞ্জ পৌরসভায় ৬০ শতাংশ ভোটারই বিএনপি ঘরানার।
এদিকে বর্তমান পৌর মেয়র জুয়েল আহমেদ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হলেও ধারণা করা হচ্ছে দলমত নির্বিশেষে রয়েছে তার জনপ্রিয়তা। ফলে বিএনপি ঘরানার ভোট ব্যাংকের ৫০ শতাংশ ভোটই নৌকায় পড়বে বলে তিনি আশাবাদী।
বিদ্রোহী প্রার্থী আনোয়ার হোসেন জানান, যেহেতু বিগত নির্বাচনে তিনি নৌকার মনোনয়ন চাওয়ার পর পরবর্তী পৌর নির্বাচনে নৌকার আশ^াস পেয়েছিলেন। এবারও নৌকা না পাওয়ায় বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় আ. লীগের অনেক ভোটই তিনি পাবেন।
আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী হেলাল মিয়াকেও মেয়র হিসেবে চাইছেন অনেক ভোটার। সে হিসেবে তৃণমূল আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগ বিরোধী ভোটারদের আকৃষ্ট করে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকবেন তিনি।
আলাপকালে উপজেলা নির্বাচন ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার বলেন, ‘ইতিমধ্যে সুষ্ঠু নির্বাচন করার লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। যদি কেউ কোনো অন্যায় করতে চায়, তাহলে তার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে কাজ করা হবে।’