বিদ্যুৎবিহীন সিলেটে দুর্ভোগে মানুষ
সিলেট ব্যুরো
🕐 ১০:৩০ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১৯, ২০২০
পাওয়ার গ্রিডে আগুন লাগার ঘটনায় গত মঙ্গলবার সকাল থেকে বিদ্যুৎহীন রয়েছে সিলেটের বেশিরভাগ এলাকা। টানা বিদ্যুৎহীনতায় বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয় সাধারণ মানুষকে। দুপুর থেকেই বাসাবাড়ি, মসজিদসহ নানা স্থানে পানিসহ বিভিন্ন সংকট সৃষ্টি হয়েছে। বিদ্যুতের অভাবে অনেক গৃহস্থালি কাজ ব্যাহত হচ্ছে। হাসপাতাল, ক্লিনিকসহ জরুরি সেবাও ব্যাহত হচ্ছে। অনেক ফিলিং স্টেশন বন্ধ থাকায় যানবাহন জ্বালানি সমস্যায় পড়েছে। বিশাল এলাকায় জনজীবনে মারাত্মক দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। মোবাইল ফোন চার্জ দেওয়া, ইন্টারনেট সমস্যা প্রকট হয়ে উঠেছে। গত মঙ্গলবার রাতেই চড়া দামে মোমবাতি বিক্রি হতে দেখা গেছে।
সিলেট মহানগরীর কুমারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পাওয়ার গ্রিড ১৩২/৩৩ কেভি বিদ্যুৎ সরবরাহ উপকেন্দ্রের ভয়াবহ অগ্নিকা-ের কারণ নিরূপণে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ উন্নয়ন ও বিতরণ বিভাগ-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলীকে আহ্বায়ক করে এ তদন্ত কমটি গঠন করা হয়। কমিটিকে আগামী তিন দিনের মধ্যে নির্বাহী পরিচালক (ওঅ্যান্ডএম) পিজিসিবি বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের উপ-মহাব্যবস্থাপক (এইচআরএম) রূপক মোহাম্মদ নাসরুল্লাহ জায়েদী স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। গ্রিডে অগ্নিকা-ের ঘটনায় ২০০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন উপকেন্দ্রের সংশ্লিষ্টরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগুনে প্রায় ৭০ কোটি টাকার ২৫/৪১ এমবিএ দুটি ট্রান্সফরমার পুড়ে গেছে। ট্রান্সফরমারগুলোর বাইরের অংশ পুড়লেও ভেতরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া ৩৩ কেভি ফিডার ও বার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অগ্নিকা-ের ঘটনায় পুরো সিলেটে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সিলেট নগরী, আশপাশের বিভিন্ন এলাকা, ছাতক ও সুনামগঞ্জ বিদ্যুৎহীন রয়েছে। ফলে প্রায় সাড়ে চার লক্ষাধিক গ্রাহককে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ উন্নয়ন ও বিতরণ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মোকাম্মেল হোসেন জানান, দ্রুততম সময়ে বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক করতে তাদের কর্মীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিলেট কুমারগাঁওয়ে ১৩২/৩৩ কেভি বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রের ভয়াবহ অগ্নিকা- ঘটে। খবর পেয়ে দমকল বাহিনীর সাতটি ইউনিট এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে দুপুরের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।