এমসি কলেজের হোস্টেলে তুলে নিয়ে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে গণধর্ষণ
সিলেট প্রতিনিধি
🕐 ৯:৪৯ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২০
সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে নগরীর শাহপরাণ থানা পুলিশ শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে ছাত্রাবাস থেকে স্বামীসহ ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে। পরে তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।
এসএমপির গণমাধ্যম শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জ্যোতির্ময় সরকার ভিকটিমের বরাত দিয়ে জানান, গণধর্ষণের শিকার তরুণী তার স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে গিয়েছিলেন। এমসি কলেজ প্রধান ফটকে গাড়িতে স্ত্রীকে বসিয়ে রেখে কিছু কিনতে যান স্বামী। এ সময় ৫-৬ জন দৃর্বৃত্ত ওই গৃহবধূকে জোর করে নিয়ে যেতে চাইলে তার স্বামী দৌঁড়ে আসে। পরে তাকেসহ অস্ত্রের মুখে নিয়ে যায় এমসি কলেজ হোস্টেলের ৭ নম্বর ব্লকে।
সেখানে স্বামীকে একটি কক্ষে আটকে রেখে গৃহবধূকে গণধর্ষণ করে দুর্বৃত্তরা। জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
পুলিশ বলছে, অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে। ঘটনার পরপর র্যাব-৯ ও সিলেট মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার সিলেটের এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে যান ওই গৃহবধূ। এক পর্যায়ে রাত ৮টার দিকে তরুণীর স্বামী সিগারেট খাওয়ার জন্য এমসি কলেজের মূল গেটের বাইরে বের হন। এ সময় কয়েকজন দুর্বৃত্তরা গৃহবধূকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যেতে চায়। এতে তার স্বামী প্রতিবাদ করলে তাকে মারপিট শুরু করা হয়। এক পর্যায়ে গৃহবধূ ও তার স্বামীকে এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে নিয়ে যায়। সেখানে স্বামীকে বেঁধে গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
সিলেট শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইয়ুম চৌধুরী জানান, এক দম্পতিকে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে আটকে রাখা হয়েছে খবর পেয়ে পুলিশ ছাত্রাবাস থেকে তাদের উদ্ধার করে। উদ্ধার হওয়া নারী ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন। পরে তাকে ওসমানী হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে।
এমসি কলেজের ছাত্রাবাসের সুপার মো. জামাল উদ্দিন জানান, কয়েকজন ছাত্রাবাসে এক দম্পতিকে আটক রাখে বলে অভিযোগ পেয়েছি। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে। আমরা এ বিষয়ে বিস্তারিত খবর নিচ্ছি।
এমসি কলেজের অধ্যক্ষ সালেহ আহমদও একই তথ্য জানিয়ে বলেছেন, তাদের কেনো আটকে রাখা হয়েছিলো এবং তাদের সঙ্গে কী আচরণ করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও বিষয়টি তদন্ত করছে।