ফাঁদমুক্ত হাকালুকির পানকৌড়ি
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
🕐 ১২:৪৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩১, ২০২০
শিকারিদের হাত থেকে হাকালুকি বিটের অভিযানে ৬০টি পানকৌড়ির বাচ্চা উদ্ধার করা হয়েছে। গত বুধবার সন্ধ্যায় বড়লেখা উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের হাকালুকি হাওরপাড়ের কাননগোবাজার এলাকায় নৌকা থেকে উদ্ধার করা হয়।
এ সময় নৌকায় পাখি রেখে শিকারিরা পালিয়ে যায়। রাত ৯টার দিকে উদ্ধার করা পাখিগুলোকে হাকালুকি হাওরপাড়ের হাল্লা গ্রামের পাখি বাড়িতে ছেড়ে দেওয়া হয়। বনবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দিনের যে কোনো একসময় হাকালুকি হাওরপাড়ে অবস্থিত পাখির অভয়াশ্রম ‘হাল্লা পাখিবাড়ি’ থেকে ফাঁদ পেতে বেশ কিছু পানকৌড়ির বাচ্চা ধরে শিকারিরা। পরে পাখিগুলো বিক্রির জন্য স্থানীয় কাননগোবাজারে নৌকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
স্থানীয়রা বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানান। এরপর বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বন বিভাগের হাকালুকি বিটের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা (জুনিয়র ওয়াইল্ডলাইফ স্কাউট) তপন চন্দ্র দেবনাথ কাননগোবাজার এলাকায় অভিযান চালান। নৌকা করে বন বিভাগের লোকজনের আসা দেখে শিকারিরা নৌকা ও পানকৌড়ির বাচ্চাগুলো রেখে পালিয়ে যায়।
তপন চন্দ্র দেবনাথ কাননগোবাজার এলাকায় অভিযান চালান। নৌকা করে বন বিভাগের লোকজনের আসা দেখে শিকারিরা নৌকা ও পানকৌড়ির বাচ্চাগুলো রেখে পালিয়ে যায়। পরে বন বিভাগের লোকজন স্থানীয়দের উপস্থিতিতে পানকৌড়ির বাচ্চাগুলো উদ্ধার ও শিকারিদের নৌকা জব্দ করেন। উদ্ধারের পর পাখিগুলো বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পাখি বাড়ির মালিক শাহরিয়ার আহমদ স্বপনের কাছে অবমুক্তের জন্য পানকৌড়ির বাচ্চাগুলো হস্তান্তর করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শামীম আল ইমরান, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান তাজ উদ্দিন, বন বিভাগের বড়লেখা রেঞ্জ কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন দাস, বন বিভাগের হাকালুকি বিটের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা তপন চন্দ্র দেবনাথ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। রাত ৯টার দিকে পাখি বাড়িতে পাখিগুলো অবমুক্ত করা হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শামীম আল ইমরান বলেন, রাতেই অবমুক্ত করা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে শিকারিদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।