সামান্য বৃষ্টিতেই হবিগঞ্জ শহরে জলাবদ্ধতা
সড়ক অবরোধ করে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
🕐 ৯:৪১ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৮, ২০১৮
জলাবদ্ধতা যেন নিয়তিই হয়ে দাঁড়িয়েছে হবিগঞ্জ শহরবাসীর। সামান্য বৃষ্টিতেই শহরে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও চাকরিজীবীসহ সাধারণ মানুষের চলাচলে মারাত্মক ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। আর অবিরাম বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে জনজীবন। অল্প বৃষ্টিতেই শহরের পিটিআই এলাকা, সার্কিট হাউজ রোড, শায়েস্তানগর, কালীবাড়ী ক্রস রোড, উত্তর শ্যামলী রোডসহ অধিকাংশ সড়ক তলিয়ে যাচ্ছে।
সেই সঙ্গে তলিয়ে যাচ্ছে জেলা প্রশাসকের বাসভবন, পুলিশ সুপারের বাসভবন, পানি উন্নয়ন ভবন, সার্কিট হাউজসহ গুরুত্বপূর্ণ ভবনের সামনের সড়ক। এতে যান চলাচলসহ সরকারি কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার রাতের টানা কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে শহরের অধিকাংশ এলাকা তলি যায়। এতে করে ভোগান্তিতে পড়তে হয় শহরবাসীকে। জলাবদ্ধতা নিরসনে পৌরসভার আশ্বাসের পরও কোন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। ফলে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন নগরবাসী।
গত শুক্রবার সকালে শহরের ডাকঘর এলাকায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে প্রধান সড়ক অবরোধ করে রাখেন। প্রায় ২ ঘণ্টা অবরোধে শহরের তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় শহরবাসীকে। খবর পেয়ে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক শফিউল আলম, হবিগঞ্জ সদর থানার ওসি (তদন্ত) জিয়াউর রহমান ও পরিবেশ নেতারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষুব্ধ লোকজনকে শান্ত করেন। পরে ব্যবসায়ীরা অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. আলমগীর মিয়া বলেন- ‘সামান্য বৃষ্টি হলেই শহরের বিভিন্ন রাস্তায় হাঁটু পরিমাণ পানি জমে থাকে। এতে করে একদিকে যেমন চলাচলে সমস্যা হয়, তেমনি অন্যদিকে ব্যবসায়ীদের অনেক ক্ষতি হয়। জলাবদ্ধতার কারণে ক্রেতারা আমাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে আসেন না। আবার অনেক দোকানে পানি ঢুকে মালামাল নষ্ট হয়ে যায়।
ডাকঘর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হাই বলেন- সামান্য বৃষ্টি হলেই বাসায় পানি ঢুকে যায়। রান্নাঘরে পানি ঢুকে যাওয়ার কারণে অনেক সময় ছেলে-মেয়েদের নিয়ে না খেয়ে থাকতে হয়।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন- শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য বাপাসহ অনেক সামাজিক সংগঠন এবং স্থানীয় বাসিন্দারা আন্দোলন করে যাচ্ছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ বারবার আশ্বাস দিলেও জলাবদ্ধতা নিয়ে তাদের কোন মাথা ব্যথাই নেই।
ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক শফিউল আলম বলেন- আমরা পৌর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জলাবদ্ধতা নিরসনের বিষয়ে আলাপ করব। প্রয়োজনে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্তক সহযোগিতা করা হবে।