স্থানীয়রা জানায়, প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার (৪ জুন) রাতে মা ও মেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। সবাই ঘুম থেকে উঠলেও অনেক বেলা পরও মা-মেয়ে ঘুম থেকে উঠছিলেন না। এ অবস্থা দেখে নিহত জায়েদা বেগমের বোন এলাকার মেম্বার ও চেয়ারম্যানকে খবর দেন। তারা শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহত জায়েদা বেগমের ছেলে মো. ওয়াহিদ মিয়া জানান, আমি আমার শশুর বাড়িতে ছিলাম, আমার খালা আমাকে ফোন করে এ ঘটনা জানালে আমি দৌড়ে এসে দেখি আমার মা ও বোনের মৃতদেহ পড়ে আছে। আমার মা ও বোনকে খুন করা হয়েছে।

নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী ধারণা করছেন মেয়ের জামাই এ কর্মকাণ্ড ঘটাতে পারে। এলাকার কারও সাথে তাদের কোন বিরোধ ছিলো না। কিন্তু নিহত ইয়াসমিনের স্বামী আজগর আলীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ ছিলো।

ঘটনাস্থল মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ, শ্রীমঙ্গল কমলগঞ্জ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আশরাফুজ্জামান, শ্রীমঙ্গল থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুছ ছালেক, তদন্ত ওসি সোহেল রানাসহ পুলিশের একটি টিম পরিদর্শন করেন।

এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ, সি.আইডি ও ডিবি পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত হয়ে এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টায় আছেন। জড়িতদের খুব শীঘ্রই গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে পুলিশ তৎপর থাকবে।