ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ধানের দামে দুশ্চিন্তায় কৃষক

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
🕐 ৩:৩১ অপরাহ্ণ, মে ১৭, ২০২০

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় এবার বোরো ধানের ভালো ফলন হয়েছে। ইতিমধ্যে শ্রমিক সংকট কাটিয়ে হাওরাঞ্চলের নিচু ৯৫ শতাংশ জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে। আর উচু এলাকার ৫২ শতাংশ ধান কাটা শেষ হয়েছে।

কৃষকরা জমি থেকে আনা কাটা ধান শুকানো নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। তবে ধানের দাম কম হওয়ায় কৃষকরা দিশেহারা। এছাড়া সরকার কতৃর্ক ন্যায্য মূল্যের ধান সংগ্রহের হার অতি নগন্য।

কৃষি বিভাগের সূত্রে জানায়, জেলার হাওর অঞ্চল বলে খ্যাত নবীগঞ্জ উপজেলায় এবার ১ লাখ ১৭ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে আবাদ করা হয়েছে। ধান কাটার শুরু দিকে করোনার কারণে কৃষকরা শ্রমিক সংকটের কারণে দিশেহারা হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শ্রমিক এনে ধান কাটা শুরু করেন। ইতোমধ্যে উপজেলার ১নং বড় ভাকৈর পশ্চিম,৭নং করগাঁও, পানিউন্দা ও কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নসহ নবীগঞ্জ উপজেলার হাওর অঞ্চলের নিচু এলাকার ১০০ শতাংশ জমির ধান ও উচু এলাকার ৮৫ শতাংশ জমি ধান কাটা শেষ হয়েছে। কৃষক ও কৃষানী জমিতে থেকে খলার নিয়ে আসা ধানগুলো শুকানোর জন্য ব্যস্ত সময় পাড় করছেন।

কৃষকরা জানিয়েছেন, একজন শ্রমিকের দৈনিক মজুরি ৭০০ টাকা দিতে হচ্ছে। কৃষকদের দৈনিক মজুরি দেয়াসহ ধান রোপন কাটাই সব মিলিয়ে প্রতি কের (৩০ শতাংশ) জমিতে ৭/৮ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। এ জন্য ধান মূল্য বৃদ্ধি করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন।

উপজেলার মুক্তাহার গ্রামের কৃষক ফনি দাশ জানান, তিনি এবার ২০ কের জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছেন। প্রতি করে জমিতে ধান রোপন, কাটা, মারাই করাসহ সব মিলিয়ে ৭/৮ হাজার হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আর জমিগুলোতে কোন জমিতে ১৫ মন আবার কোন জমিতে ২০ মন ধান ফলন হয়েছে। বর্তমান বাজারে প্রতি মন ধান কাচা ৫শ টাকা মন বিক্রি হচ্ছে। এ হিসেবে কৃষি জমি করে আমরা কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। সরকার ধানের দাম আরো বাড়ালে কৃষকরা লাভবান হতো।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক গৌরপদ দে জানান, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রাপ্ত তালিকা থেকে আমরা লটারি মাধ্যমে নির্বাচিত প্রকৃত কৃষকের কাছ থেকে আজ রোববার থেকে ধান নেওয়া শুরু করব। এর বাইরে ধান দেওয়ার কোন সুযোগ নাই।

উপজেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা একেএম মাকসুদুল আলম জানান, এবার উপজেলায় ১৭ হাজার ৭৫০ টন ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ফসল উৎপাদন বেশি হয়েছে। কৃষকদের ধানের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণের জন্য সরকার ইতিমধ্যেই ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু করেছে।

 
Electronic Paper