ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

আদার ট্রিপল সেঞ্চুরি

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
🕐 ৪:১৯ অপরাহ্ণ, মে ০১, ২০২০

সুনামগেঞ্জ বাজারে আদার দাম বেড়েছে। প্রতি কেজি আদা কিনতে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের। করোনা পরিস্থিতি ও রমজানে দ্রব্যমূল্যের কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে সাধারণ ক্রেতাদের জিম্মি করে সুযোগ নিচ্ছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। ৪-৫ দিন আগেও যে আদা প্রতি কেজি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায় কিনেছেন ক্রেতারা কয়েকদিনের ব্যবধানে সেই আদাই দ্বিগুন দামে কিনতে হচ্ছে তাদের।

অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ও বাজার মনিটরিং না থাকায় এমনটা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। দ্রুত সময়ে বাজার নিয়ন্ত্রণে না আসলে আদাসহ নিত্যপণ্য সামগ্রীর মূল্য সাধারণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে বলে জানিয়েছেন তারা। বাজার নিয়ন্ত্রণে শহরে অচীরেই অভিযান পরিচালনা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ।

গত সোমবার সরেজমিন সুনামগঞ্জ পৌর শহরের কয়েকটি স্থানে নিত্যপণ্যের দোকান ঘুরে আদার মূল্য বৃদ্ধির সত্যতা পাওয়া যায়। ট্রাফিক পয়েন্টের রহমান কনফেকশনারিতে প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়, হৃদি ভ্যারাইটিজ স্টোরে ২৮০ টাকায় ও ডিএস রোডের গৌরাঙ্গ স্টোরে ২৮০ টাকা এবং জেল রোড এলাকায় ৩০০ টাকা মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে প্রতি কেজি আদা।

এছাড়াও শহরের বিভিন্ন মহল্লায় ৩৫০ টাকা দরে আদা বিক্রি করতে দেখা গেছে। জেলা শহর ছাড়াও দক্ষিণ সুনামগঞ্জের পাগলাবাজার, শান্তিগঞ্জ ও পাথারিয়া বাজারসহ বিভিন্ন উপজেলার গ্রামীণ বাজারে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা দরেও প্রতি কেজি আদা বিক্রি করতে দেখা গেছে।

সুনামগঞ্জ শহরের বাসিন্দা সোলেমান মিয়া বলেন, রমজান ও করোনা পরিস্থিতিকে সামনে রেখে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি করা হচ্ছে। ৩০০ টাকা কেজিতে আদা বিক্রি করা হচ্ছে। প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিচ্ছেন।

জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে সহকারী পরিচালক শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, আমরা প্রতিদিনই বাজারে অভিযান পরিচালনা করছি।

র‌্যাবের সহযোগিতা নিয়ে জাউয়া বাজারে আদার মূল্যবৃদ্ধি ও মেয়াদোত্তীর্ণ দ্রব্য বিক্রি করার দায়ে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে ২৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অচীরেই বাজার নিয়ন্ত্রণে শহরে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

 
Electronic Paper