লাল শাপলার রাজ্য
শাহ আলম, গোয়াইনঘাট
🕐 ১০:১৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ০৬, ২০২০
প্রকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সিলেট। মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে বনানী আর ঝরনা বেষ্টিত লাল শাপলার বিল। প্রকৃতি যেন এখানে উজাড় করে আপন সৌন্দর্য ঢেলে সাজিয়েছে। সৌন্দর্যের সাক্ষী লাল শাপলার রাজ্য, ডিবির হাওর। হাওরের একদিকে আকাশের সঙ্গে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে সবুজ জৈন্তা-খাসিয়া পাহাড় আর অরণ্য। পাহাড়ের গায়ে সাদা মেঘের ওড়াওড়ি, তার উপরে নীল আকাশ আর আকাশের নিচে শাপলার রাজ্যে লালের হোলি খেলা।
প্রকৃতির এই শোভায় বুঁদ হতে ভোরের আলো ফুটে উঠার আগেই এখানে ভিড় করেন পর্যটকরা। অপরূপ সৌন্দর্য ধারণ করে এই বিল বহন করছে রাজা বিজয় সিংহের স্মৃতি। পাহাড়, মেঘ, আকাশ আর লাল শাপলার অপূর্ব মিতালীর সঙ্গে ইতিহাসের ঝাঁপি, এসব বৈশিষ্ট্যই এ বিলকে আলাদা করেছে দেশের অন্য যে কোনো শাপলা বিল থেকে। শুধু সৌন্দর্য আর ইতিহাসই নয়, বিলের শাপলা স্থানীয়দের করে দিয়েছে জীবিকার পথ।
শাপলার হাসি উপভোগ করতে হলে যেতে হয় প্রথম ভোরে। এখানে রাজা রাম সিংহ স্মৃতি মন্দির পর্যটকদের জন্য বাড়তি পাওনা। সেপ্টেম্বরে ফোটা শুরু করে শাপলা আর জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ফোটে। সেপ্টেম্বর থেকে জানুয়ারি শাপলা বিলে যাওয়ার উপযুক্ত সময়। ভোরের আলো ফোটার আগেই বের হয়ে সেখানে পৌঁছাতে হবে। কারণ দিনের আলো বাড়তে বাড়তে ম্লান হয়ে যায় শাপলার হাসি।
জৈন্তাপুরে জৈন্তরাজ্যের রাজা রাম সিংহের স্মৃতিবিজরিত ডিবির হাওর, ইয়াম, হরফকাটা কেন্দ্রীয় বিলসহ রয়েছে চারটি বিল। চারটি বিলে প্রায় ৯০০ একর জলাধারে প্রাকৃতিকভাবে লাল শাপলার জন্ম। বিলগুলোকে কেন্দ্র করেই এর নাম করা হয়েছে ডিবির হাওর। হাওরে নৌকায় ঘুরতে পারবেন। গেলে অবশ্যই নৌকায় উঠবেন। ভাড়া নেবে ঘণ্টায় ৩০০ টাকা। এই ভাড়া উপজেলা প্রশাসন থেকে নির্ধারণ করে দেওয়া। মাঝারি আকারের এক নৌকায় ৭-৮ জন ওঠা যায় অনায়াসে।