ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

তাঁতকলে স্বাবলম্বী

হৃদয় ইসলাম, কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার)
🕐 ৫:০২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৫, ২০১৯

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে মুসলিম এইডের ক্ষুদ্রঋণের টাকা কাজে লাগিয়ে অনেক মহিলা সংসারে সফলতা এনেছেন। এ উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে মণিপুরী সম্প্রদায়ের পাশাপাশি মুসলিম মণিপুরী মহিলারাও তাঁতের কাজ করে সংসারের সফলতা আনছেন। তাঁতের কাপড় দেশে ও বিদেশে ব্যাপক চাহিদা থাকায় মণিপুরী মহিলারা নানা রঙ্গের হাতে ফুল ফুটিয়ে তুলেন শিল্পকর্মে। তেমনি মুসলিম মণিপুরী এক মহিলা আমেরজান বেগম তাঁত শিল্প তৈরী করে স্বাবলম্বী হয়েছেন।

কমলগঞ্জ পৌর এলাকার দক্ষিন কুমড়াকাপন গ্রামের মণিপুরি (মুসলিম) পাড়ার তেমনি এক মহিলা আমেরজান বেগম। স্বামী আইনদ্দিন পেশায় একজন ড্রাইভার। স্বামী ও তিন ছেলেকে নিয়ে তার সংসার। ছেলেরা লেখাপড়া করছে। বড় ছেলে এইচএসসিতে, দ্বিতীয় ছেলে ৮ম শ্রেণিতে আর ছোট ছেলে প্রথম শ্রেণিতে পড়ছে। কিন্তু অর্থ সংকটের কারণে মাঝে মাঝে হতাশ হতো কিভাবে সংসার চালাবেন ও ছেলেদের লেখাপড়ার খরচ। সংসার চলতো কষ্টে এমতাবস্থায় জানতে পারেন মুসলিম এইড নামে আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থার সুদ মুক্ত ঋণ বিতরণের কথা। আমেরজান বেগম মুসলিম এইড দক্ষিন কুমড়াকাপন গ্রামের মণিপুরী সমিতিতে ভর্তি হন। প্রথমে ১০ হাজার টাকা ঋণ গ্রহণ করে তা দিয়ে একটি তাঁত ক্রয় করেন। ম্বামী-স্ত্রী মিলে তাঁতের কাজ করেন এবং কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেন। প্রতিমাসে তার আয় হয় ২৫-৩০ হাজার টাকা। এমনিভাবেই ৮ বার ঋণ নিয়ে ব্যবসার পাশাপাশি কৃষিতে মনোনিবেশ করেন। বর্তমানে তিনি ৫ কেয়ার জমিতে কৃষি ক্ষেত করেছেন, নিজস্ব একটি পাকা বাড়ি করেছেন। স্বামীকে বিদেশে পাঠিয়েছেন।

আমেরজান বেগম বলেন, ‘ক্ষুদ্রঋণের টাকা দিয়ে তাঁতের কাজ করে সুন্দরভাবে আমার সংসার চলছে। নতুন করে ঘর তৈরী করেছি। এখন আগের তুলনায় আমি অনেক সুখি। বর্তমানে তার ব্যবসার অবস্থা ভাল। তার এগিয়ে যাওয়ার পেছনে মুসলিম এইডের অবদানের কথা তারা স্বীকার করে বলেন, পরবর্তীতে বড় ধরনের অর্থ সহায়তা পেলে আরও ভাল কিছু করতে পারবো।’

মুসলিম এইড কমলগঞ্জ শাখার শাখা ব্যবস্থাপক আর্শ্বাদুন্নবী বলেন, ‘মুসলিম এইড আর্ন্তজাতিক সংস্থাটি সুদ মুক্ত ঋণ বিতরণের করে আমেরজানকে সাহায্য করেছি। আমেরজানের মত অনেক মহিলা এই সংস্থাটি থেকে ঋণ নিয়ে স্বাবলম্বী হচ্ছে।’

 
Electronic Paper