ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ধর্ষণের অভিযোগে ওসমানী মেডিকেলের চিকিৎসক আটক

সিলেট ব্যুরো
🕐 ৪:২৬ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৬, ২০১৮

সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক ইন্টার্ন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।

ওই স্কুলছাত্রী তার অসুস্থ নানির সঙ্গে রাতে হাসপাতালে ছিল। রোববার (১৫ জুলাই) মধ্যরাতে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১৬ জুলাই) দুপুরে হাসপাতাল থেকে অভিযুক্ত চিকিৎসককে পুলিশ আটক করে। স্কুলছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
স্কুলছাত্রীর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অসুস্থ নানির সঙ্গে হাসপাতালে ছিল ওই শিক্ষার্থী। ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তৃতীয় তলার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ১৭ নম্বর বেডে ভর্তি ছিলেন ওই স্কুলছাত্রীর নানি। রোববার রাতে ওই স্কুলছাত্রী ছাড়া আর কেউ রোগীর সঙ্গে ছিলেন না। রাতে ফাইল দেখার কথা বলে ইন্টার্ন চিকিৎসক মাক্কাম আহমদ মাহী ওই মেয়েটিকে একই ফ্লোরে নিজের কক্ষে ডেকে নিয়ে যায় এবং ধর্ষণ করে। সকালে বাবা-মা হাসপাতালে আসার পর স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনা তাদের জানায়। সোমবার সকাল ৮টার দিকে মেয়ের বাবা-মা ওসমানী মেডিকেলের পরিচালকের কাছে চিকিৎসক মাহীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। এর পর হাসপাতালের চিকিৎসক, পুলিশ ও স্কুলছাত্রীর স্বজনদের মধ্যে বৈঠক হয়। বেলা দেড়টা নাগাদ বৈঠক চলে। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই মাহীকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
মাক্কাম আহমদ মাহীর বাড়ি ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায়। তার বাবার নাম মোখলেসুর রহমান। তিনি ওসমানী মেডিকেলের নাক, কান ও গলা বিভাগের ইন্টার্ন চিকিৎসক। ওই স্কুলছাত্রী তার পরিবারের সঙ্গে সিলেট মহানগরীতেই থাকে।
জানতে চাইলে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার এ কে এম মাহবুবুল হক বলেন, ‘ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা ওই স্কুলছাত্রীর স্বজনদের এবং ওই চিকিৎসককে নিয়ে বসি। মেয়ের পক্ষ এবং ওই ইন্টার্নের পক্ষ থেকে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। মেয়ের পরিবারের আনা অভিযোগ মাহী আস্বীকার করেছেন। বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে সুরাহা না হওয়ায় মাহীকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে। মেয়েটিকে ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনা খতিয়ে দেখতে বিকেলে তদন্ত কমিটি হবে। এছাড়া সব ওয়ার্ডে সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ফুটেজ সংগ্রহ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, রবিবার রাতে মাহীর ডিউটি ছিল ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। আর ওই স্কুলছাত্রী তার নানীর সঙ্গে ছিল ৮ নম্বর ওয়ার্ডে। সেখান থেকে ডেকে নিয়ে ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এনে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
সিলেট কোতোয়ালি থানার সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার গোলাম কাউসার দস্তগীর এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ‘ইন্টার্ন চিকিৎসক মাক্কাম আহমদ মাহীকে আটক করা হয়েছে। স্কুলছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ওই স্কুলছাত্রীকে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে হাসপাতালে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।’

 
Electronic Paper