দেড়শ বছরেও মজুরি দেড়শ টাকা হয়নি
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
🕐 ৮:১০ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১৯, ২০১৯
দেশের চা শিল্প দেড়শ বছর পার করতে যাচ্ছে। কিন্তু এ দেড়শ বছরেও চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি দেড়শ টাকা হয়নি বলে আক্ষেপ করেছেন শ্রমিক নেতারা। গত শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় কল কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের আয়োজনে ‘কর্মক্ষেত্রে নারীর প্রতি সহিংসতা এবং যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় জুড়ী চা ভ্যালির সহ-সভাপতি ও নারী নেত্রী শ্রীমতি বাউরী আক্ষেপ প্রকাশ করেন। চা শ্রমিক সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে সভায় বৃহত্তর সিলেটের বিভিন্ন চা ভ্যালি থেকে আসা চা শ্রমিক নেতারা অংশ নেন।
তারা বলেন, উপযুক্ত শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান- সবক্ষেত্রে চা শ্রমিকরা বঞ্চিত। চা বাগানগুলোতে পর্যাপ্ত সরকারি স্কুল নেই, স্বাস্থ্যকেন্দ্র নেই, ঠিকমত খাবার পায় না, অথচ চা শ্রমিকদের শ্রমে ঘামে দেশের শিল্প আজ এতো দূর এগিয়ে গেছে।
শ্রীমতি বাউরি বলেন, ‘এখনও চা বাগানগুলোতে বাবু সাহেবদের দ্বারা নারী শ্রমিকরা প্রতিনিয়ত যৌন নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। সামাজিক পরিস্থিতি আর জীবিকার তাগিদে মুখ ফুটে তারা প্রতিবাদ করতে পারে না।’
কল কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের উপ-মহাপরিদর্শক মো. মাহবুবুল হাসানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আলী আজম। বিশেষ অতিথি ছিলেন কল কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের মহাপরিদর্শক শিবনাথ রায়, শ্রম অধিদফতরের মহাপরিচালক এ কে এম মিজানুর রহমান (অতিরিক্ত সচিব), শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, শ্রম অধিদফতরের উপ-পরিচালক নাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কে এম আলী আজম বলেন, জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা রোধ এবং নারী শ্রমিকদের প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ও এর অধীন দফতরগুলো কাজ করে যাচ্ছে। ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে হলে বাংলাদেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারীকে এগিয়ে আসতে হবে। আর নারীর প্রতি সহিংসতা বজায় থাকলে এটি কখনও সম্ভব হবে না। নারীরা এখন দেশের বড় বড় জায়গা থেকে অবদান রাখছে। কর্মক্ষেত্রে নারীর প্রতি সহিংসতা এবং যেকোনো ধরনের অশোভন আচরণ রোধে সরকার প্রস্তুত রয়েছে।’