ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বেহাল সড়কে দুর্ভোগ

শহীদ নূর আহমেদ, সুনামগঞ্জ
🕐 ১:৩৪ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৬, ২০১৯

সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায় উত্তর খুরমা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর-জলালপুর সড়ক যেনো মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সড়কের খানাখন্দ আর ভাঙাচুরা পাকা এখন পথচারিদের পথে কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এই রাস্তা দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করছেন ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয়রা সড়কটি সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসলেও কর্ণপাত করছেন না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ফলে পথচারীদের দুর্ভোগ মাত্রা নিয়েছে চরমে। তাই এলাকাবাসীর যাতায়াতে কষ্ট লাঘবে চলতি শুষ্ক মৌসুমে সড়কটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

সরিজমিনে গিয়ে জানা যায়, কাঞ্চনপুর-জলালপুর সড়কটি প্রায় ৩ থেকে চার কিলোমিটার দৈর্ঘ্য। এই সড়ক দিয়ে সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে উঠতে হয় উত্তর খুরমা ইউনিযনের কাঞ্চনপুর, এলঙ্গি, নয়া মইশাপুর, পুরান মইশাপুর, রাজার গাঁও, জলালপুর, গরিপুরসহ কয়েক গ্রামে পাঁচ থেকে সাত হাজার মানুষকে। সড়কটিতে দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার কাছ না হওয়ায় ভারী যানবাহন চলাচল ও বর্ষায় ভারী বর্ষণে বিটুমিনের ফলে উঠে গিয়ে অসংখ্য খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। সড়কের প্রায় স্থানেই বড় বড় গর্ত।

যেখানো একবার গাড়ি আটকে গেলে বিপাকে পড়তে হয় যাত্রী ও চালকদের। পুরু সড়ক জুড়ে ভাঙাচুড়া থাকায় ক্রমাগত ঝাঁকুনিতে ভোগান্তি পোহায়ে গন্তব্যে পৌঁছতে হয় সাধারণের। ভাঙাচুড়া রাস্তা দিয়ে মুমূর্ষু রোগী কিংবা গর্ভবতীদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে ঘটে হিতে বিপরীত। খানাখন্দ ও ভাঙাচুড়ার কারণে গাড়ি চলাচল করতে চান না চালকরা। আসলেও যাত্রীকে গুনতে হয় দ্বিগুন টাকা। নিরাপদ ও উন্নয়ত যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্যে সড়কটিকে সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন পথচারী, ভোক্তভোগী, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ এলাকার নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।

শিউলী বেগম নামে এক পথচারি বলেন, ভাঙাচুড়া আর খানাখন্দ মারিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। কোনো উপায় না পেয়ে বাধ্য এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করি। রাস্তা খারাপ থাকায় ড্রাইভাররা দ্বিগুন ভাড়া নিয়ে থাকেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য খলিল আহমদ বলেন, কাঞ্চনপুর-জলালপুর সড়ক দিয়ে ইউনিয়নের পাঁচসাতচি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। আমরা দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি সংস্কারের জন্য দাবি করে আসলেও কাজের কাজ হচ্ছে না। নতুন একটি প্রকল্প গ্রহণ করে সড়কটি এই শুষ্ক মৌসুমে সংস্কারের দাবি জানান তিনি।

ছাতক উপজেলা এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী আবুল মনসুর বলেন, জলালপুর-কাঞ্চনপুর সড়কটি এবার প্রকল্পের আওতাভুক্ত করা হয়েছে। প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। আসা করছি পকল্প অনুমোদন হলে কাজ শুরু করা যাবে।

 
Electronic Paper