ব্রিজের অভাবে ভোগান্তি
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
🕐 ৯:৩৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ১২, ২০১৮
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার জগদীশপুর-শায়েস্তাগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে ঠিকাদারের অবহেলায় পুরাতন সেতু ভেঙে ফেলায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজারো মানুষ। প্রায় ৬ মাস ধরে এ অবস্থা চললেও নোয়াপাড়া খাদ্যগুদামের কাছের সেতুটি দ্রুত মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। এতে জনপ্রতিনিধি, ঠিকাদার ও এলজিইডির কর্মকর্তাদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
নোয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. আলমগীর অভিযাগ করে বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খোকন নামে একজন ঠিকাদার ওই রাস্তার কার্পেটিং ও সেতুটি ভেঙে পুনরায় নির্মাণের কাজ পায়। কিন্তু অনেক বিলম্বে কার্পেটিং কাজ দায়সারাভাবে নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে শেষ করা হলেও সেতুটি ভেঙে ফেলে চলে গেছে। প্রায় ৬ মাস ধরে সেতুটি ভেঙে ফেলে রাখায় এ রাস্তা দিয়ে যোগাযোগ এখন সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। এতে এ রাস্তা দিয়ে সাধারণ মানুষের চলাচল এবং পণ্য পরিবহন বন্ধ হয়ে পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, নোয়াপাড়া এলাকায় বেশ কয়েকটি শিল্প কারখানার শতশত নারী-পুরুষ শ্রমিক কর্মরত রয়েছে। কিন্তু সেতু ভেঙে ফেলার কারণে রাতের বেলায় নারী শ্রমিকরা অনেক ভোগান্তির মধ্যে পড়ে। সেতুটি দ্রুত নির্মাণের জন্য উপজেলা পরিষদের সাধারণ সভা ও এলজিইডি কর্মকর্তাদের অবগত করলেও তা নির্মাণের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে না।
খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা ফয়জুল ইসলাম জানান, এ সেতুর কারণে নোয়াপাড়া খাদ্য গুদামে খাদ্য সামগ্রী আনা ও নেওয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে। কয়েক কিলোমিটার ঘুরে বিকল্প রাস্তায় খাদ্য সামগ্রী গুদামে নিতে হয়। সেতুটি ভাঙার আগে বিকল্প একটি সেতু তৈরি করা হলে এমন ভোগান্তি হতো না।
স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী জানান, এ ভাঙা সেতুটি ওই এলাকার জন্য এখন বড় সমস্যা। বিকল্প সেতু তৈরি না করে এটি ভাঙা ঠিক হয়নি। এর কারণে এখন মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে।
ঠিকাদার কিংবা প্রকৌশলী বিভাগের কারো গাফলা থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। বিকল্প রাস্তা তৈরি করে সেতুটি দ্রুত নির্মাণকাজ শেষ করার জন্য এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলীকে অবহিত করেছি। আশা করছি, সেতুটি দ্রুত নির্মাণ করা হবে।
ঠিকাদারী নিলু এন্টারপ্রাইজের পরিচালক খোকন মিয়া জানান, সেতুটি ভাঙার পর থেকেই ছড়া দিয়ে পাহাড়ি ঢলের পানির কারণে নির্ধারিত সময়ে সেতুটির নির্মাণ শেষ করা সম্ভব হয়নি। এখন পানির স্রোত কিছুটা কমেছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেতুটি নির্মাণ করা হবে।