ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচন

সিলেটে জামায়াত রহস্য

সিলেট ব্যুরো
🕐 ১০:৫২ অপরাহ্ণ, জুলাই ১০, ২০১৮

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপিকে ছাড় দিচ্ছে না জামায়াত। জামায়াতের ভূমিকা নিয়ে রহস্য ক্রমেই ঘনিভূত হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার সিসিক নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দের পর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মহানগর জামায়াতের আমির এহসানুল মাহবুব জুবায়ের পেয়েছেন টেবিল ঘড়ি প্রতীক।

দলীয় নিবন্ধন না থাকায় জামায়াতের প্রার্থী দাড়িপাল্লা প্রতীক পাননি। ফলে বিপাকে পড়েছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী। জানা গেছে, ২০১৩ সালের সিসিক নির্বাচনে প্রার্থী দিতে চেয়েছিল জামায়াত। ওই নির্বাচনে মহানগর জামায়াতের আমির এহসানুল মাহবুব জুবায়ের প্রার্থিতা ঘোষণা করলেও পরে জোটের সিদ্ধান্তে তিনি নির্বাচন থেকে সরে আসেন। আসন্ন নির্বাচনেও মেয়র পদে মহানগর জামায়াতের আমির প্রার্থিতা ঘোষণা করেন। এদিকে ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত না থাকায় অনেকে ধরে নিয়েছিলেন আরিফুল হক চৌধুরীই জোট প্রার্থী। ঢাকায় জোটের বৈঠক শেষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরিফুল হককে জোটের প্রার্থী হিসেবে জামায়াত অ্যাপ্রুভ করেছে বলে গণমাধ্যমকে জানান। পরদিন জামায়াত বিষয়টি অস্বীকার করে বিবৃতি দেয়। এদিকে গতকাল প্রতীক পেয়ে জামায়াতের প্রার্থী এহসানুল মাহবুব জুবায়ের পোস্টার ছেপে পুরোদমে গণসংযোগ শুরু করেছেন। গতকাল সন্ধ্যায় তার নির্বাচনী কার্যালয়ও উদ্বোধন করা হয়।
স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সিলেট মহানগর জামায়াতের আমির এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, সিলেট নাগরিক ফোরামের ব্যানারে স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী আমি নির্বাচনে আছি, থাকব। নির্বাচিত হলে সক সেবাপ্রতিষ্ঠানকে সমন্বিত করে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, সিসিক নির্বাচনে জোটের প্রার্থী নিয়ে আলোচনা হয়নি। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে আমি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি।
প্রতীক পাওয়ার পরই প্রচারণায় ঝাঁপিয়ে পড়লেন প্রার্থীরা
সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থীরা গতকাল প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন। নির্বাচন কমিশন এ প্রতীক বরাদ্দ দেয়। মেয়র পদে ৭ প্রার্থী, কাউন্সিলর ১২৭ পদে প্রার্থী ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৬৩ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ সম্পন্ন হয়েছে। প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পরই নির্বাচনী প্রচারণায় ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রার্থীরা।
সিসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়রপ্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান লড়বেন দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে। বিএনপি-সমর্থিত মেয়রপ্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী লড়বেন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে। বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী বদরুজ্জামান সেলিম পেয়েছেন বাসগাড়ি প্রতীক, মহানগর জামায়াতের আমির এহসানুল মাহবুব জুবায়ের পেয়েছেন টেবিল ঘড়ি, ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সদস্য ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন পেয়েছেন হাতপাখা প্রতীক, সিপিবি-বাসদ মনোনীত প্রার্থী আবু জাফর মই ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এহসানুল হক তাহের পেয়েছেন হরিণ প্রতীক।
প্রতীক পেয়েই প্রচারণায় নেমেছেন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মেয়রপ্রার্থীরা। গতকাল মঙ্গলবার সকালে প্রতীক বরাদ্দের পর শাহজালাল (র.) মাজার জিয়ারতের পর নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান ও বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীসহ অন্যান্য মেয়রপ্রার্থীরা।
মাজার জিয়ারতের পর নগরীর দরগা গেইট এলাকায় জনসংযোগ করে মেয়রপ্রার্থীরা। এ সময় গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে জয়ের আশাবাদ ব্যক্ত করেন মেয়র পদে দুই প্রধান প্রতিদ্ব›দ্বী আরিফুল হক চৌধুরী ও বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, গত মেয়াদের বেশিরভাগ সময় আমি কারাগারে ছিলাম তাই আমার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির অনেকটা বাস্তবায়নের সুযোগ পাইনি। তারপরও আমি জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী উন্নয়ন করতে পেরেছি বলে মনে করি।
অপরদিকে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে আওয়ামী লীগ মনোনীত বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। তিনি বলেন, অতীতের মতো ভবিষ্যতেও আপনাদের খেদমত করে যেতে চাই।
বিএনপি থেকে সেলিম বহিষ্কার
সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিমকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে বহিষ্কার করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুর পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে একই অভিযোগে ময়মনসিংহ উত্তর জেলাধীন তারাকান্দা উপজেলা বিএনপির সদস্য মাসুদ রানা খানকেও বহিষ্কারের কথা জানানো হয়েছে।
বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দলের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগে দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম এবং ময়মনসিংহ উত্তর জেলাধীন তারাকান্দা উপজেলা বিএনপির সদস্য মাসুদ রানা খানকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দলীয় নেতাকর্মীদের এখন থেকে তাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ না রাখতে অনুরোধ করা হয়েছে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে।
জানা গেছে, সিসিক নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল গত ৯ জুলাই। দল থেকে বলা হলেও সেলিম মেয়র প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেননি। গতকাল তাকে প্রতীক বরাদ্দ করে নির্বাচন কমিশন। বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী বদরুজ্জামান সেলিম পেয়েছেন বাসগাড়ি।
প্রতীক পেয়েই প্রচারণায় ঝাঁপিয়ে পড়ছেন প্রার্থীরা
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র, সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে গতকাল প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত এ প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। সকাল ১০টা থেকে কাউন্সিলর ও দুপুর ১২টা থেকে মেয়র প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেন রিটার্নিং অফিসার। মেয়র পদে ৬ প্রার্থীকে নিজ নিজ দলের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গতকাল কাউন্সিলর প্রার্থীদের নির্ধারিত ২২টি প্রতীক থেকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রতীক পাওয়ার পরই দুপুর ২টা থেকে শুরু হয়েছে প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা।
বরিশালের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মুজিবুর রহমান জানান, আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে নৌকা, বিএনপির মজিবর রহমান সরোয়ারকে ধানের শীষ, জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন তাপসকে লাঙ্গল, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের মনীষা চক্রবর্তীকে মই, কমিউনিস্ট পার্টির একে আজাদকে কাস্তে এবং ইসলামী আন্দোলনের মেয়রপ্রার্থী ওবায়দুর রহমান মাহবুবকে হাতপাখা প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।
এ ছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডের জন্য অভিন্নভাবে সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীদের জন্য ১২টি ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের জন্য ১০টি প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কাউন্সিলর পদে একই প্রতীকে একাধিক প্রার্থী হলে লটারির মাধ্যমে প্রতীক নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।
সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. হেলাল উদ্দিন জানান, নির্বাচনে মনোনীত প্রার্থীদের প্রতীক দেওয়া হয়েছে। এখন থেকেই তারা নির্বাচন কমিশনের নির্বাচনী বিধি-বিধান মেনে প্রচার-প্রচারণা করতে পারবেন। তবে কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রচার-প্রচারণায় অনিয়মের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, আগামী ৩০ জুলাই সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে নির্বাচন কমিশন।
উল্লেখ্য, বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়রের একটি পদের বিপরীতে ৬ জন, সাধারণ কাউন্সিলরের ৩০টি পদের বিপরীতে ৯৪ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত কাউন্সিলরের বিপরীতে ৩৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। ৩০ জুলাই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
উন্নয়নে লিটনের ৮২ প্রতিশ্রুতি বুলবুল চান ঐক্যবদ্ধ রাজশাহী
রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে গতকাল প্রতীক পেয়েই প্রচারণায় ঝাঁপিয়ে পড়েছেন আওয়ামী লীগ-বিএনপির প্রার্থীসহ অন্যান্য মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থীরা।
গতকাল প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরুর আগে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। এ সময় তিনি লক্ষাধিক মানুষের নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ রাসিকের উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরেন। এ সময় উন্নয়নে ৮২টি প্রতিশ্রুতি দেন এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
বেলা সাড়ে ১১টায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের নৌকা প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে আসেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ডাবলু সরকার। এরপর দুপুর ১২টার পরপরই মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। মহাজোটের শরিক দল এবং নগরীর আওয়ামী লীগপন্থী বিশিষ্ট নাগরিকদের উপস্থিতিতে লিটনের পক্ষে নির্বাচনী ইশতেহার পাঠ করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অধ্যাপক ড. আব্দুল খালেক। মেয়র নির্বাচিত হলে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন রাজশাহীর উন্নয়নে কী কী করবেন, ইশতেহারে ১৪টি দফায় এমন ৮২টি প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।    
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আমি মেয়র থাকাকালে উত্তরাঞ্চলের অবহেলিত অথচ গুরুত্বপূর্ণ এই শহরকে সব সূচকে উন্নয়ন ও অগ্রগতির যে গৌরব অর্জন করেছিলাম তা আজ প্রায় শূন্যের কোটায়। আমার সময় রাজশাহী শান্তি, স¤প্রীতি, সমৃদ্ধি আর পরিচ্ছন্ন সবুজের বাসযোগ্য নগরীর মর্যাদা লাভ করেছিল। এগুলো সব অতীত হয়ে গেছে। আজ তা পুনরুদ্ধার করতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমান খান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহীন আক্তার রেনী, সাধারণ সম্পাদক মো. ডাবলু সরকার, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সহ-সভাপতি তবিবুর রহমান শেখ, আওয়ামী লীগের শরিক দল ওয়ার্কার্স পার্টির মহানগর সভাপতি লিয়াকত আলী লিকু, সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামাণিক দেবুসহ ১৪ দলের অন্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ধানের শীষ ঐক্যবদ্ধ রাজশাহী গড়ার প্রতীক : বুলবুল
এদিকে প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই নির্বাচনী প্রচারে নেমে পড়েন রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় নগরীর দলীয় নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে নগরীর দরগাপাড়ায় হযরত শাহ মখদুম (রহ.) মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে তিনি নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন। রাসিক নির্বাচনে নিজের জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি মেয়রপ্রার্থী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক বুলবুল বলেন, ধানের শীষ জাতীয় প্রতীক। এই প্রতীক নিয়ে আমরা আমাদের প্রিয় মানুষ হযরত শাহ মখদুমের মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে রাজশাহীবাসীর কাছে বিনীত আবেদন জানাচ্ছি যে, ধানের শীষ হলো শান্তির প্রতীক, ধানের শীষ উন্নয়নের প্রতীক। ধানের শীষ হলো রাজশাহীর মানুষের মনের প্রতীক। ধানের শীষ ঐক্যবদ্ধ রাজশাহী গড়ার প্রতীক। ধানের শীষ জাতীয়তাবাদী দল ও বাংলাদেশের ভূখণ্ডের প্রতীক। সেই শান্তির প্রতীক নিয়ে রাজশাহীবাসীর কাছে বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি যে উন্নয়নকে, সমৃদ্ধিকে, শান্তিকে বজায় রাখার জন্য এবং আজকে যারা অরাজকতা সৃষ্টি করছেন তাদের হাত থেকে রাজশাহীকে রক্ষা করার জন্য রাজশাহীর মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে ৩০ তারিখের নির্বাচনে ধানের শীষকে বিজয়ী করুন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, মহানগর সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলনসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

 
Electronic Paper