ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

দুর্নীতি-অনিয়ম করে কেউ পার পাবেন না: হানিফ

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
🕐 ৬:৪০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ০১, ২০১৯

মাহবুব উল আলম হানিফদলের দোহাই দিয়ে কোনও অপরাধী পার পাবেন না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। তিনি বলেন, ‌দুর্নীতিবাজ কোনও দলের নয়, সন্ত্রাসীদের কোনও দল নেই। দলের দোহাই দিয়ে কেউ পার পাবেন না। দুর্নীতি, অনিয়ম ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর অবস্থান কঠোর। সেটা যুবলীগ, ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ বা অন্য যেকোনও সংগঠনেরই কর্মী হোক। অপরাধীদের চিহ্নিত করা হচ্ছে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (০১ অক্টোবর) সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আগে সার্কিট হাউজে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় ক্যাসিনো অভিযান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ক্যাসিনোতে জুয়া খেলা যুবলীগের কোনও বিষয় নয়, এটা ক্লাবের বিষয়। এখানে যুবলীগের যেমন দুই-একজন নেতাকর্মী জড়িত, তেমনি বিএনপিরও কিছু নেতা রয়েছে।

আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অভিযোগ করেন, ক্লাবগুলোতে জুয়ার প্রচলনকারী লোকমান খালেদা জিয়ার কাছের লোক ছিলেন। এছাড়া জুয়া চালু করেছিল ব্রাদার্স ইউনিয়নের সাদেক হোসেন খোকা, ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের মির্জা আব্বাস, মোহামেডান ক্লাবের লোকমান, মোসাদ্দেক আলী ফালু। তাদের সময় থেকে জুয়া চলে আসছে। খেলার ক্লাবে বিএনপির প্রচলন করা জুয়ার হাত ধরে সম্প্রতি এসেছে ক্যাসিনো।

সরকারি দলের ব্যানার ব্যবহার করে অপরাধীরা অন্যায় করছে দাবি করে তিনি আরও বলেন, যারা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত তাদের কাছে কোনও রাজনৈতিক দল বিষয় নয় বা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ততাও কোনও বিষয় নয়। এরা দলকে ব্যবহার করতে চায় তাদের অপকর্মকে জায়েজ করার জন্য।

অপকর্মের সঙ্গে জড়িত খালেদ ভুঁইয়া ও জি কে শামীম বিএনপি থেকে আসা বলে দাবি করেন তিনি।

দলে অনুপ্রবেশকারীদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যারা অন্যদল থেকে আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। যাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, অনিয়ম, দুর্নীতি, মাদক, মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীর অভিযোগ রয়েছে তাদেরকে দলে নেওয়ার বিষয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। যারা এসব নিষেধ অমান্য করে বিতর্কিত ব্যক্তিদের দলে নিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সবার তালিকা তৈরি করে নেত্রীকে দেওয়া হয়েছে।

দলীয় কাউন্সিল প্রসঙ্গে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে প্রাচীণ রাজনৈতিক দল। ডিসেম্বর মাসের ২০ এবং ২১ তারিখে কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সারাদেশে সাংগঠনিক কর্মতৎপরতা শুরু হয়েছে। উপজেলাগুলোতে সম্মেলন করা হয়েছে। ডিসেম্বরের ১০ তারিখের মধ্যে সকল জেলায় সম্মেলন শেষ করা হবে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক, সুনামগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ড. জয়াসেন গুপ্তা, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যরিস্টার এম এনামুল কবির ইমনসহ জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

 
Electronic Paper