ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

অস্তিত্বহীন সুনামগঞ্জের পাঁচ খাল

শহীদ নুর আহমেদ, সুনামগঞ্জ
🕐 ১০:১০ অপরাহ্ণ, জুন ৩০, ২০১৯

সুনামগঞ্জ পৌর শহরের পানি নিষ্কাশনের পাঁচটি খালের অস্তিত্বই বিলীন হয়ে গেছে। প্রবীণরা খালগুলোর নাম মনে রাখলেও নতুন প্রজন্ম এ সম্পর্কে কিছুই জানে না। দখল আর ভরাটে হারিয়ে গেছে খালগুলোর চিহ্ন। যার ফলে বৃষ্টি হলেই শহরে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। বাসাবাড়ি, অফিস, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, সড়ক, পাড়া-মহল্লা প্লাবিত হয়।

প্রবীণদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এক সময় ঝাউয়ার হাওর খনন করেই সুনামগঞ্জ শহর প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এ ঝাউয়ার হাওরই শহরের পানি নিষ্কাশনের প্রধান জলাধার ছিল। সুরমা নদী থেকে প্রবাহিত পাঁচটি খাল শহরের ভেতর দিয়ে ঝাউয়ার হাওরে প্রবাহিত হতো। এ খালগুলোই ছিল শহরবাসীর পানি নিষ্কাশনের প্রধান মাধ্যম।

প্রবীণদের মতে খালগুলো হলো- ধোপাখালি খাল, বলাইখালী (ষোলঘর), কামারখাল, তেঘরিয়া খাল ও বড়পাড়া খাল। শহরের পূর্ব উত্তর এলাকায় ধোপাখালি খালটি অবস্থিত। এ খাল দিয়ে এক সময় মরাগাঙে পানি নামতো। পরে এ পানি মোহাম্মদপুর হয়ে সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের পূর্বে অবস্থিত জলাশয়ে গিয়ে পতিত হতো। এ জলাশয় থেকে সোনাখালি খাল হয়ে ঝাউয়ার হাওরে নামতো পানি।

বর্তমানে পানি নামলেও ধোপাখালিতে অপরিকল্পিত স্লুইসগেটের কারণে পর্যাপ্ত পানি চলাচলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে ভরাট ও দখল হয়েছে খালটি। একইভাবে বিলীন হয়ে গেছে বলাই খাল, তেঘরিয়া খাল ও বড়পাড়া খাল।

আইনজীবী প্রদীপ কুমার নাগ হারু বলেন, অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, খাল দখল-ভরাট, নাগরিক অসচেতনতায় ড্রেন ভরাট, সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতায় সুনামগঞ্জ শহরের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এটা এখন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এই সমস্যার কারণে শহরের বাসাবাড়িতে বৃষ্টি ও ঢলের পানি ঢুকে পড়ছে। এগুলো উদ্ধার ও পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না করলে আগামীতে নাগরিকরা আরো কঠিন সংকটে পড়বেন।

পৌর মেয়র নাদের বখত বলেন, আমাদের পৌর শহরের পানি নিষ্কাশনের মাধ্যম খালগুলো ভরাট-দখল হয়ে গেছে। এগুলো উদ্ধারে প্রশাসনিক সহযোগিতা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে নাগরিক সচেতনতাও জরুরি। আমাদের পানি নিষ্কাশনের এ সমস্যা নিয়ে নাগরিকদের কাছ থেকে মতামত নিয়ে নিরসনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

 
Electronic Paper